অনলাইন ডেস্কঃ ভোলার কৃষকদের উৎপাদিত মুগ ডাল যাচ্ছে জাপানে। এ মুগ ডাল একটি জাপানি সংস্থা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে নিচ্ছে। এটি জাপানে অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে সালাদ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া এবার ভোলায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়মতো বীজ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা পাওয়ায় এই সাফল্য এসেছে। বর্তমানে কৃষকরা ব্যস্ত ফসল তোলা, বিক্রি ও সংগ্রহের কাজে।
ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা—এ সাত উপজেলায় এবার ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উন্নত জাতের বারি মুগ-৬ ছাড়াও নানা জাতের মুগ আবাদ করেছে কৃষকরা। প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা ও অনুকূল পরিবেশ থাকায় কৃষকরা বেশি জমিতে মুগ ডালের চাষ শুরু করে। এখন মাঠজুড়ে কেবল মুগ ডালের সমারোহ। পাল্লা দিয়ে মাঠে মাঠে চলছে মুগ ডাল তোলার কাজ। এর মধ্যে কিষানিই বেশি। কৃষকরা জানায়, একরপ্রতি ফলন আসছে ১৪-১৫ মণ, যা বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায়।
আন্তর্জাাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) অর্থায়নে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের পেইজ প্রকল্পের আওতায় মুগ ডালের জাত উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের ওপর গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা জেলার পাঁচটি উপজেলায় আট হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ ও ডিলারের মাধ্যমে বারি মুগ-৬ বীজ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ইউগ্লেনার প্রতিনিধিরা কৃষকদের কাছ থেকে ৬০ টাকা দামে মুগ ডাল কিনতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ভোলা থেকে ৩০ মেট্রিক টন মুগ ডাল কিনেছে জাপানি সংস্থাটি। এ ব্যাপারে গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) ভোলার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন
জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার আট হাজার কৃষককে সংস্থার পক্ষ থেকে বিনা খরচে প্রশিক্ষণ ও ডিলারের মাধ্যমে চাষের জন্য উন্নত জাতের বারি মুগ-৬ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুজীব সার ব্যবহার করে ডাল চাষ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আসাতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।