স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে একটি মেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবৎ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বেলা ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী পৌর শহরের স্টেশন চৌমুহনীতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। এসময় আগামী তিনদিনের মধ্যে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি প্রত্যাহার না করলে আগামী রবিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দোকান-পাট বন্ধ রেখে ধর্মঘটসহ পরবর্তীতে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, আল ইসলাহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে এই মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিলে পরিনত হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, আল ইসলাহ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে এই মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিলে পরিনত হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে মেলা আয়োজন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে ধর্মঘটসহ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে। কোন ষড়যন্ত্রই ব্যবসায়ীদের নৈতিক দাবি থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না বলে হুশিয়ারী দেন তারা।
এর আগে বক্তারা বলেন, বিগত বছরের বৈরী আবহাওয়ার কারনে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় মানুষ অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করেন। ক্রেতারা ছিলো বাজার বিমুখ। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক লোন সহ বিভিন্ন ঋণ ধার করে দোকান কোঠা ভাড়া, কর্মচারী খরচ, বিদ্যুৎ বিল প্রদান করে ক্ষতিগ্রস্ত। এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় মানুষের মাঝে খুশির আমেজ বইছে। গত বছরের লোকসান কাঠিয়ে এবছর ব্যবসায় কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারনা। এর মধ্যে সামনে রমজান মাস, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বাজারে ক্রেতারা আসবেন।
বক্তারা বলেন, কিছু ব্যক্তি তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করতে চাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চরম পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। লোকসানের ঘাটতি সামাল দিতে না পারলে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া ২০১৮ সালের এইচএসসি পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে মেলা আয়োজনে আতংকিত অভিভাবকরা। যে স্থানে মেলা হয় না কেন সেখানেই লটারী, জুয়া, হাউজিসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। যা আমাদের যুবসমাজের জন্য হুমকী স্বরুপ।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের ন্যায্য দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে মেলার অনুমোদন দিবেন না। আর যদি তার ব্যাত্যয় ঘটে আমরা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো।
কুলাউড়া ব্যাবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ব্যবসায়ীদের দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী নেহার বেগম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, সাপ্তাহিক সংলাপ পত্রিকার সম্পাদক ও ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, দক্ষিণ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি এসএম জামান মতিন, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুলাউড়া ইউনিটের সভাপতি মোক্তাদির হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মবশ্বির আলী, জাসদ নেতা রেহান উদ্দিন আহমদ, ব্যবসায়ী সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, ৭নং ওয়ার্ড সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জাহেদ, ৮ নং ওয়ার্ড সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মনি, উপজেলা তালামিযের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন সাজু প্রমুখ।


