অনলাইন ডেস্কঃ
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক। আর তারই
জের ধরে বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে সীমান্ত
বরাবর ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
বলাই বাহুল্য, উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা পৌঁছে দিতেই এই বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে।
চলতি
সপ্তাহেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে
কিম জং উনের প্রতিরক্ষা দপ্তর। আর তারই জবাবে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন
অনেকে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, অন্তত দু'টি বি ১বি
সুপারসনিক বম্বার ও চারটি এফ-৩৬ স্টেলথ ফাইটার জেট লাগাতার দক্ষিণ কোরিয়ার
পূর্বে অবস্থিত একটি মিলিটারি ক্ষেত্রে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে।
তবে
পেন্টাগন প্রকাশ্যে এই যৌথ মহড়ার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার
সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল এজেন্সি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই
আগ্রাসী পদক্ষেপ সে দেশের পারমাণবিক গবেষণার গতি রুদ্ধ করতে পারবে না।
সম্প্রতি সিওলকে লক্ষ্য করে একটি মিসাইল ছুড়ে বসেন কিম। তারপর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলছিল সিওল।
জানা
গেছে, গুয়ামে মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি অ্যান্ডার্সন এয়ার ফোর্স বেস থেকে
দু'টি মার্কিন যুদ্ধবিমান বি-১বি উড়ে গেছে কোরিয়ার সীমান্তে। তাদের সঙ্গে
যোগ দিয়েছে জাপানে মার্কিন বিমানসেনা ঘাঁটি ইওয়াকুনি থেকে উড়ে আসা চারটি
এফ-৩৬ স্টেলথ ফাইটার জেট।
ইউএস
প্যাসিফিক কমান্ডের ইঙ্গিত, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিকতম ক্ষেপণাস্ত্র
ছোড়ার বিরুদ্ধে জবাব দিতেই এই ব্যাপক মহড়া চালানো হচ্ছে। যদিও পিয়ংইয়ং সাফ
জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখিয়ে তাদের পরমাণু কর্মসূচি আটকানো যাবে
না। তবে এই মুহূর্তে কোরীয় সীমান্তে তিনটি দেশের সেনাই কার্যত পুরোপুরি
যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে।
