মরার ওপর খাঁড়ার ঘা রাখাইনে

অনলাইন ডেস্কঃ নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা স্থগিত করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রাণহানি বৃদ্ধির মাঝেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে গত কয়েকদিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

রাখাইনে বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের জন্য মিয়ানমারের কর্মকর্তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন অার্মি’কে (এআরএসএ) দায়ী করছে। কিন্তু পালিয়ে আসা বেসামরিক রোহিঙ্গারা বলছেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অগ্নিসংযোগ ও হত্যার এই অভিযানের লক্ষ্য হলো তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করা।’

শনিবার ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত সব সম্প্রদায় ও সাম্প্রতিক অস্থিরতায় নতুন করে ক্ষতির শিকার লোকজনের মাঝে পুনরায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করায় অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত আড়াই লাখ মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে।

এদের মধ্যে ২০১২ সাল থেকে দেশটির বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকা এক লাখ ২০ হাজার মানুষ রয়েছে; যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। ওই সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় ব্যাপক হত্যা ও সংকট তৈরি হয়। যা আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে রাখাইনে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রায় ৫৮ হাজার ৬০০ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়েছেন।

রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের হাতে ডব্লিউএফপি খাবার সরবরাহ করছে অভিযোগ করছে মিয়ানমার সরকার। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে হামলার জন্য এই যোদ্ধাদেরকে দায়ী করছে মিয়ানমার। তবে মিয়ানমার সরকারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সূত্র : আল-জাজিরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post