অনলাইন ডেস্কঃ
কাশ্মির ইস্যু নিয়ে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি,
তারা আগেও যেমন চেয়েছে এখনও চায় যে ভারত-পাকিস্তান আলোচনার টেবিলে বসে এই
সমস্যার সমাধান করুক। আফগানিস্তান নীতির সঙ্গে কাশ্মির ইস্যুকে মিলিয়ে
ফেলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মঙ্গলবার
আফগানিস্তান নিয়ে নতুন নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সেখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা
হয়েছে ভারত আর পাকিস্তানের নামও। একদিকে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে মদদ দেওয়ার
জন্য যেমন তিনি ইসলামাবাদকে সরাসরি সতর্ক করেছেন, সেই সঙ্গেই নতুন
আফগানিস্তান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছে।
টিভি
চ্যানেলে সম্প্রচারিত বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘২০০১ সাল থেকে ভারত
আফগানিস্তানকে প্রায় তিরিশ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। আমরা এর প্রশংসা
করি। ভবিষ্যতেও আফগানিস্তানে নতুন পরিকাঠামো গঠনের জন্য ভারতকে পাশে পাওয়া
যাবে বলে আমরা মনে করি। কারণ ওই এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে
ভারতের ভূমিকা অপরিহার্য।
জঙ্গিদের
মদদ দেওয়ার প্রশ্নে ট্রাম্পের সমালোচনার একটি সরকারি জবাব দিয়েছে পাক
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানেই টেনে আনা হয়েছে কাশ্মির প্রসঙ্গ। ওই
বিবৃতিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে কাশ্মির নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ না কাটলে দক্ষিণ
এশিয়ায় স্থিতাবস্থা আসা সম্ভব নয়।
এর
আগেও জাতিসংঘ যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বারবার সেই অনুরোধ করেছে
পাকিস্তান। হোয়াইট হাউসের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা
হয়েছিল, ‘কাশ্মির সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ঠিক কী হতে চলেছে?
এর
উত্তরে ওই মুখপাত্র পরিষ্কার বলেছেন, আমেরিকার কাশ্মির নীতি কোনও ভাবেই
বদলায়নি। আগেও যা ছিল, এখনও তা-ই আছে। তারা এখনও চায় ভারত-পাকিস্তান
একসঙ্গে আলোচনায় বসে এই সমস্যার সমাধান করুক।