অনলাইন ডেস্কঃকাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী পাঁচ দেশের কূটনৈতিক বিরোধের জেরে বিমান পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আরব অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর।
দেশগুলোর অভিযোগ, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে ‘মদদ দিচ্ছে’ কাতার। ইয়েমেন বাদে বাকি দেশগুলো কাতারের সঙ্গে আকাশ, নৌ ও সড়ক পথে যোগাযোগ স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছে। সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সোমবার তাদের বিমানবন্দরে কাতারের সব ধরনের উড়োজাহাজ উঠানাম নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মিশরও কাতার ভিত্তিক বিমান কোম্পানির উড়োজাহাজের তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বলেছে, মঙ্গলবার জিএমটি ০৪:০০ থেকে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করা সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
এর ফলে আমিরাতের এমিরেটস, ইতিহাদ ও ফ্লাই দুবাই, এয়ার এরাবিয়া, বাহরাইনের গালফ এয়ারের মত এয়ারলাইনগুলোকে বড় ধরণের বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই সব বিমানকোম্পানি মঙ্গলবার সকাল থেকে তাদের কাতারগামী এবং কাতারের রাজধানী দোহা থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
কাতার এয়ারওয়েজও তাদের সৌদিআরবগামী সব ফ্লাইট স্থাগিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কাতারের আল হামাদ এয়ারপোর্ট মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোর একটি।গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে প্রায় কোটি যাত্রী পার করেছে এই বিমানবন্দর।