অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটের শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আইইডি নামের একধরনের বিশেষ বিষ্ফোরক। জঙ্গিরা এসব আইইডি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। সেনাবাহিনীর অভিযান অপারেশন টোয়াইলাইট এর দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান গণমাধ্যমকে এমনটিই বলেছেন। জঙ্গিদের অস্ত্রের ধরণ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল বলেন, তাদের কাছে স্মল আর্মস ও আইইডিসহ প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রয়েছে। সেনা সদস্যরা যখন ভেতরে গ্রেনেড চার্জ করছিলো তখন জঙ্গিরা সেটা উল্টো আমাদের দিকে ছুড়ে মেরেছে। তারা প্রচুর বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে এবং তাদের সবার কাছে সুইসাইডাল ভেস্ট লাগানো আছে। এর মধ্যে ১০-১২টি আইইডির বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তারা। সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা সেজন্য কিছুটা সাবধানে এবং ধীরেসুস্থে আগাচ্ছেন।
আইইডি বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, আইইডির পুরো নাম ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস। এটি হাতে বানানো এক ধরনের বিস্ফোরক যন্ত্র, যা বিভিন্ন স্থাপনায় বা মেঝেতে স্থাপন করে রাখা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারের মাধ্যমে, দূরনিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোল কিংবা মোবাইল ফোনের তরঙ্গের মাধ্যম ব্যবহার করে আইইডি দিয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। এছাড়াও টাইম সেট করে দিয়ে এটাকে টাইম বোমা বানিয়েও বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। জঙ্গি ও দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে এর প্রশিক্ষণ পেয়েছে বলে মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল রশিদ বলেন, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন জঙ্গি রাষ্ট্র থেকে লোক এসে বাংলাদেশে এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় অবস্থিত আতিয়া মহল বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট সিলেটে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে। এরপর শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটে পুলিশ চেকপোস্টে দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত এবং ৪৪ জন আহত হন।
ট্যাগ »
জাতীয়