নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়ার লংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মনসুর আহমেদ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ওয়াটসআপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইরফানুল হক ও বিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মন্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইরফানুল হক। তিনি তাঁর প্রতিবাদলিপিতে বলেন, ওই শিক্ষক মনসুর আহমদ কর্তৃক এই ধরণের ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্যের বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসে। এতে বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে অনেকে না বুঝে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতেছেন।
আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে জানাচ্ছি যে, ওই শিক্ষক মনসুর আহমদ চেয়েছিলেন গত ১০-১২বছর পূর্বের সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী শিক্ষক লাইব্রেরী পদে স্থায়ী নিয়োগ দেখিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর এমপিও ভুক্তির আবেদন প্রেরণ করতে। তখনই আমি তাকে বুঝিয়ে বলেছিলাম যে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে হলে মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হতে হবে এবং কাম্য যোগ্যতা থাকতে হবে। বিদ্যালয়টি গত ৬ জুলাই এমপিও ঘোষনা হলে এখনও জি.ও জারী হয়নি। সুতরাং পূর্বের নিয়োগের কোন প্রশ্নই আসে না। বিধি অনুযায়ী জি.ও জারীর পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হয়। আর সহকারী শিক্ষক লাইব্রেরি পদে নিয়োগ এনটিআরসিএ দিয়ে থাকে। ম্যানেজিং কমিটির হাতে নিয়োগের কোন ক্ষমতা নেই।তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বরাবর মৌখিক আবেদন করলে ম্যানেজিং কমিটির গত ৩ সেপ্টেম্বরের সভায় ০৭ নং সিদ্ধান্তে বলা হয় যে, লংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে কোন ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ দেখানো যাবেনা এবং এর দায়ভার কর্তৃপক্ষ কখনো নিবেনা। একজন শিক্ষক নিয়োগ পেতে হলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি মনোয়ন কপি, নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ড গঠন সহ সকল আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন।যা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। বিষয়টি তখন শিক্ষক মনসুর আহমদকে অবগত করলে তিনি স্বেচ্ছায় খণ্ডকালীন শিক্ষক পদ থেকে চাকুরী ছেড়ে দেন।পরবর্তীতে তিনি নিজের ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৭২২০৩৩৯৫৪ থেকে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষককে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছেন।এছাড়া বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট সেই মোবাইল নং থেকে ওয়াটসআপ গ্রুপের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানীমূলক বার্তা পাঠাচ্ছেন।যা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠদানে মনোযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া তিনি আরও মন্তব্য করেন, বিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন ফি অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে বিদ্যালয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত কোন ফি গ্রহণ করা হয় না এবং রশিদ ছাড়া কোন ধরনের ফি গ্রহণ করা হয় না। তাই ওই শিক্ষকের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্টের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।এ বিষয়ে কারো কোন মন্তব্য থাকলে বিদ্যালয়ে সরেজমিন আসবেন এবং দেখে যাবেন। বিদ্যালয়টি আপনার-আমার সকলের।কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য একটা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি কখনো নষ্ট হতে পারে না।
মোঃ ইরফানুল হক, প্রধান শিক্ষক, লংলা উচ্চ বিদ্যালয়, কুলাউড়া।