অপরূপ রুপের রূপগঞ্জ



নিউজ ডেস্কঃ কর্মব্যস্ত শহরে সবাই একটা সময় ক্লান্ত হয়ে যাই আমরা। সময় এবং সুযোগের অভাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে উঠে। বিশেষ করে যদি মনে হয় একটু পাহাড়-প্রকৃতির দেখে আসি, তখনই মনে হয় কমপক্ষে ৪-৫ দিনের অবসর না পেলে ঘুরতে যাওয়া অসম্ভব।  অনেকেই আবার দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল মেনে বেড়াতে যেতেও আগ্রহী হন না।

তবে রাজধানীর কাছেপিঠে যদি একটু প্রকৃতির দেখা পাওয়া যায় তাহলে নিশ্চয়ই মন্দ হয় না। আর জায়গাটা যদি হয় অনেকটা পাহাড়ি, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। 

টিলার সৌন্দর্য দেখার জন্য এমন একটি জায়গা ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ।  রাজধানীর উপকণ্ঠে এমন সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। এ যেন এক মিনি রাঙামাটি। 

রূপগঞ্জের রূপ উপভোগ করতে হলে একবার আসতেই হবে এখানে। 

রাজধানীর পূর্বাচল ঘেঁষা এলাকায় আছে প্রাকৃতিক পরিবেশ উঁচু-নিচু টিলার সমাহার। যেখানে কৃষকের আবাদ করা ফসল মনে করিয়ে দেবে জুম চাষিদের কথা। টিলা বেয়ে উপরে  উঠে গেলে মন ভরে যাবে পাহাড় ভ্রমণের স্বাদে। টিলায় দাঁড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত সবুজের মনকাড়া সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের আত্মহারা করবে। 

এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ গাছগাছালির ছায়া, মনমুগ্ধকর পরিবেশে চোখের পলক ফেলা হয়তো একটু কষ্টসাধ্যই হবে। প্রকৃতিতে একটু কান পাতলেই শোনা যাবে পাখির কিচিরমিচির।

রাজধানীর কোলঘেঁষা স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচল তৈরিতে অনেক গাছ-পালা, খাল-বিল, টিলা বিলিন হলেও এখনও যা আছে তার সৌন্দর্য মুগ্ধ করবেই। মন চাইবে দ্বীপের অনুভুতি, বন-জঙ্গলের আবেশ আর ঝাউ বনের মিশেল স্বাদ পেতেও। 

রাজধানীর যেকোন প্রান্ত থেকেই মোটর সাইকেল, অটোরিকশা, বাস কিংবা যেকোনো বাহনে সড়ক পথে যাওয়া যাবে রূপগঞ্জে। কুড়িল চৌরাস্তা থেকে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টায় মধ্যে পৌছানো যাবে। তবে দিনে দিনেই ফিরে আসতে হবে। কারণ এখানে রাত্রীযাপনের কোনো হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা নেই। তবে হোটেল-রেস্তোরাঁ আছে, ফলে খাবারের কোনো চিন্তা করতে হবে না। 

Post a Comment

Previous Post Next Post