নিউজ ডেস্কঃ সকালে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলতে মাঠে গিয়েছিলেন মিথুন। হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভূত হলে খেলা ছেড়ে চলে যান হাসপাতালে। ওখানেই মারা যান মেডিকেল পড়ুয়া টগবগে তরুণ মিথুন। এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে শহরের গির্জাপাড়াসহ পুরো মৌলভীবাজারে। মা মাধবী দাশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট ও বাবা কৃপাসিন্ধু একজন আইনজীবী।
আকস্মিক এই খবরে মিথুনের বাসায় জড়ো হয়েছেন পাড়া প্রতিবেশি, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনসহ শহরের শত শত মানুষ। কেউই মিথুনের এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
মৃত্যুঞ্জয় মিথুন মৃত্যুকে জয় করতে পারেন নি। বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
মিথুন শহরের গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা। সে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার মা মাধবী দাশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট ও বাবা কৃপাসিন্ধু দাশ একজন আইনজীবী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়েছিলেন মিথুন। খেলা চলাকালীন সময়ে বুকে ব্যথা অনুভূত করলে বন্ধুরা তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুঞ্জয় দাস মিথুন ছবি আঁকার পাশাপাশি ভালো তবলা বাজাতে পারতেন। ২০১৫ সালে তবলায় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি। এছাড়া ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিলো ২১ বছর।