সেতুর ট্র্যানজাম ভেঙে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে ৩২ ঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ

 



বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ফানাই নদীর ওপর থাকা বেইলী সেতুর ট্র্যানজ্যাম ফের ভেঙে গেছে। এতে করে ৩২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে রাউৎগাঁওয়ে ফানাই নদীর ওপর বেইলী সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।



শনিবার সড়ক ও জনপথের লোকজন সংস্কার করে সেতুটি সচলের কাজ শেষ করে রাত ৮ টার দিকে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়  । সেতুটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এ পথের মানুষেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের সংস্কার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের’ সুপারভাইজার তারিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে রবিরবাজারগামী সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর দুটি স্থানে ট্র্যানজাম ভেঙে যায়। এতে সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা সেতুর দুই প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেই এবং সড়ক ও জনপথের লোকজনকে খবর দেই।

রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, সেতুটি অনেক পুরাতন ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলে প্রায় সময়ই এটির পাটাতনসহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যায়। সেতুটি ঘন ঘন বিকল হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৮ মার্চ সেতুটির ট্র্যানজাম ভেঙে দুইদিন এ সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। শুক্রবার ফের সেতুর দুইটি ট্র্যানজাম ভেঙে গেছে। এতে টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা, কর্মধা ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নের আংশিক এলাকার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তিনি জানান, লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও জরুরী কাজের জন্য ৪ ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক জনসাধারণ বিপাকে পড়েছেন। সেতুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। নতুন সেতু না করা হলে এ পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে লোক পাঠাই। লকডাউনের জন্য শ্রমিক না পাওয়া শুক্রবার কাজ শুরু করতে পারিনি। শনিবার সকাল থেকে ট্র্যানজামগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বেইলী সেতুটি অনেক পুরাতন হওয়া ঘন ঘন ট্র্যানজাম ও পাটাতন ভেঙে যায়। সেতুটি ভারী যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন করে সেতুটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post