অনলাইন ডেস্কঃ অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। অযথা ঘোরাফেরা করলেই আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার জেলায় লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার (৫ জুলাই) বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও দোকানপাট খোলা রাখার কারণে ১৫৬ টি মামলা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলায় আলাদা আলাদাভাবে মোট ২২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১৫৬ টি মামলায় ৭৯ হাজার ৭০০টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। এছাড়াও আইন অমান্য করায় সাময়িকভাবে আটক করে রাখা হয় ৩৫ জনকে। অভিযানে ১টি সেলুন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গতকাল লকডাউনের চতুর্থ দিন রোববার (৪ জুলাই) ১৬৫টি মামলায় মোট ৭০ হাজার ২৫০টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এছাড়াও অভিযানে আইন অমান্য করায় ৩৫ জনকে সাময়িকভাবে আটক করে রাখা হয়। একইসাথে ২টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন মোবাইল কোর্ট।
শনিবার (৩ জুলাই) লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও দোকানপাট খোলা রাখায় ১৮২ মামলায় ৯২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন। জেলার সকল উপজেলায় ২২ টি অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ৫১ জনকে সাময়িক আটক করা হয়।
এর আগের দিন (লকডাউনের দ্বিতীয় দিন) শুক্রবারে (২ জুলাই) মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৭ ব্যক্তিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ টাকা জরিমানা এবং ৯০ জনকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথমদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে আইন অমান্য করে কিছু মার্কেট-শপিংমল খোলা রাখাসহ অন্যান্য অপরাধে ১৬৭ জনকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও আদায় করা হয়।
এদিকে রোগীবাহী বা জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহন ছাড়া সড়কে যেকোনো পরিবহন দেখলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে ফার্মেসিসহ নিত্যপণ্যের দোকান।
জেলা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে কাউন্সিলরদের নিয়ে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
মৌলভীবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। এটি মৌলভীবাজারে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন আরও একজন। আক্রান্তের হার ৪৩ শতাংশ।
