কুলাউড়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

 



নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় যৌতুকের দাবিতে মুক্তা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধুকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা মো. মোস্তফা মিয়া বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে ও নির্যাতনের শিকার গৃহবধু মুক্তা বেগমের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের বাদে মনসুর এলাকার বাসিন্দা মো. মোস্তফা মিয়ার মেয়ে মুক্তা বেগমের সাথে ৯ বছর আগে বিয়ে হয় কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের করের গ্রামের মৃত সানু মিয়ার ছোট ছেলে আলমগীর মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আলমগীর মিয়া বেশ কিছুদিন দুবাইতে ছিলেন। মুক্তা ও আলমগীর দম্পতির ঘরে ৫ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর  থেকে নানা অজুহাতে মুক্তার পিতা-মাতার কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিতেন আলমগীর। প্রায় দ্ইু বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে চলে আসেন আলমগীর। দেশে এসে তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন সময় পিতার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন আলমগীর। মুক্তা অপারগতা জানালে আলমগীর তাঁকে প্রায় সময় মারধর করতেন।  

ঘটনার দিন গত ১৭ জুন সকাল ৭টার দিকে পরিবারের লোকজনের প্রে মায়ের কাছ থেকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে চাপ দেন স্ত্রী মুক্তাকে। এসময় মুক্তা অপারগতা জানালে আলমগীর তাঁর বোন বেবি বেগম ও শারমীন বেগমের প্ররোচণায় তাঁকে বেপক মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশি ইয়াকুব আলী ও ছকিনা বেগম মুক্তা বেগমকে উদ্ধার করেন। পরে মুক্তার বাবা মাকে মোবাইলে জানালে গৃহবধুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিসক গৃহবধু মুক্তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার এস আই হারুনুর রশীদ বলেন, মারধরের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কুলাউড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী ছোহেল জানান, গৃহবধুকে এর আগেও যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হয়েছিলো। পরে বিষয়টি সালিশী বৈঠকে নিষ্পত্তির মাধ্যমে আলমগীর ও তাঁর পরিবার  মুক্তা বেগমকে তাঁদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। গত ১৭ জুন আবারো তারা মুক্তাকে নির্যাতন করলে সে শারীরিক জখম হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

Post a Comment

Previous Post Next Post