'বিপদগ্রস্থ মানুষকে দ্রুত রেসপন্স করা পুলিশের নৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব'

 



নিউজ ডেস্কঃ বড়লেখায় মাদক, চোরাচালান, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, নারী নির্যাতন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধ রোধকল্পে থানা পুলিশ এক সমাবেশের আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা হলরুমে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। এর আগে পুলিশ সুপার থানা জামে মসজিদের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, থানার দূরবর্তী গ্রামের কোনো নাগরকি বিপদে পড়লে দ্রুত রেসপন্স করা পুলিশের নৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। কারণ মানুষের বিপদে এগিয়ে যাওয়াই পুলিশের প্রধান কাজ। মানুষ যখন থানায় আসবে পুলিশকে অবশ্যা তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হলে তিনি থানায় অভিযোগ নিয়ে এলে শত ব্যস্ততার মাঝে হলেও আগে তার কথা শুনতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গরু চুরি প্রতিরোধে ব্যর্থতার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট বিটের সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি ক্রমাগত গরু চুরি হতে থাকে আর বিটের দায়িত্বরত পুলিশ যদি ওখানে বিট পুলিশিং না করেন, সাধারণ মানুষের কাছে না যান, চুরি প্রতিরোধে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না নেন তবে সে বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর তদন্ত, সার্কেল এএসপি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আর তারাও যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারেন তবে তাদেরকে রাষ্ট্রের কাছে, প্রশাসনের কাছে জবাবদিহী করতে হবে। বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনের ঘটনার খবর পেলেই তিনি দ্রুত পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানান।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম হেলাল উদ্দিন, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ময়নুল হক মাস্টার, নছিব আলী সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post