চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল ১৮ টাকা

 



নিউজ ডেস্কঃ চা শ্রমিকদের মজুরি ১৮ টাকা মজুরি বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে। এ চুক্তি কার্যকরে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সকল বর্ধিত মজুরি পাবেন চা শ্রমিকরা।

আপাতত চা শ্রমিকদের বকেয়া হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লেবার হাউস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গলের প্রফিডেন্ট ফান্ড অফিসে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশি চা সংসদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক শুরু হয়। টানা ১১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ওই বৈঠকে শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই দাবি মেনে নিয়ে চা শ্রমিকদের নতুন মজুরি প্রদানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে, চা সংসদীয় নেতৃবৃন্দরা বর্তমান চায়ের বাজারের অবস্থা তুলে ধরে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন মজুরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে অভিমত দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহ-সভাপতি পঙ্কজ কুন্ড ও বালিশিরা ভ্যালী কার্যকরী কমিটির সভাপতি বিজয় হাজরাসহ অন্যান্য নেতা। অপর দিকে, বাংলাদেশি চা সংসদের পক্ষে তাহসিন আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বলেন, 'এখন চা শ্রমিকরা  দৈনিক মজুরি ১০২ টাকার বদলে ১২০ টাকা পাবেন। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে। এখন আপাতত বকেয়া হিসেবে মজুরির সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা করে চা শ্রমিকরা পাবেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বর্ধিত উৎসব বোনাস পাবেন চা শ্রমিকরা।'

তবে চা শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন জাগরণ যুব ফোরাম সভাপতি মোহন রবিদাস বলেন, 'শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি দাবি করেছেন ৩০০ টাকা করে। আর মালিক পক্ষ দিচ্ছে ১২০ টাকা করে।'

'এ সিদ্ধান্ত অমানবিক' দাবি করে তিনি বলেন, 'চা শ্রমিকদের নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা চলছে।'

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে থেকে দেশের সব চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন শ্রমিকরা।  



 

Post a Comment

Previous Post Next Post