অনলাইন ডেস্কঃ তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্পে আহতের
সংখ্যা ৮শ’ ছাড়িয়েছে। এখনও ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা রয়েছেন।
ফলে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে দমকল বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
বলছেন, সাত মাত্রার এই ভূমিকম্পে তুরস্কের ইজমির শহরে লোকজন আতঙ্কে
রাস্তায় নেমে এসেছেন। সাগর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার
(৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকের এই ভূমিকম্পের পর ইজিয়ান সাগরের তীরবর্তী
এলাকায় সুনামি দেখা দেয়। সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় তুরস্কের ইজমির শহরের ও
গ্রিসের কিছু রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে।
গ্রিসের সরকারি টেলিভিশনে
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে
ক্ষুদে-সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। এতে সামোসের বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন
ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে, রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার
ভূমিকম্পটি গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে
উৎপত্তি হয়েছে। রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত
হয়েছে।
তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে,
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশের সেফারিহিসারে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৬
মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে, গ্রিসের ভূমিকম্প জরিপ সংস্থা
বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও
বিবিসির খবরে এসব তথ্য মিলেছে। সেফিরিহিসারের মেয়র ইসমাইল ইয়েটিসকিন বলেন,
ভূমিকম্পে সমুদ্রের স্তর বেড়ে গেছে। ছোটখাট সুনামি আঘাত হেনেছে বলে মনে
হচ্ছে।