কুলাউড়ায় জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত


স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৫ই আগষ্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে শোক র‌্যালী, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃর্তিতে পুস্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা, যুব ঋন বিতরন, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীদের পুরস্কার বিতরন অনুষ্টিত হয়। 

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল লাইছ  এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা  সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদের পরিচালনায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্টিত জাতীয় শোক দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন এর সাংসদ, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাতীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আজ, জাতীয় শোক দিবস। জাতীর জনকের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের  ১৫ আগস্ট এই দিনে আন্তজার্তিক চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সপরিবারে ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনকে হত্যাজ করা হয়। তিনি বলেন ‘ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন আর সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই মুছে গেছে।’
প্রধান অতিথি এমপি সুলতান মনসুর আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারী থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে জাতির পিতার শাসনকাল নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য  করতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সময়কালের বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে বা যারা বিরূপ মন্তব্য করে তারা জাতীয় বেঈমান বলে চিহিৃত হবেন।
তিনি কুলাউড়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসা গুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবশ্যই থাকতে হবে সেটা হোক সরকারি অথবা বেসরকারি। যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে না এবং যারা এই কথাকে অমান্য করবেন সেইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে কোন রকমের সহযোগিতা করা হবে না। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ একে এম সফি আহমদ সলমান, পৌর মেয়র সফি আলম ইউনুছ, কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ ইয়ারদৌস হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওএমসিএইচপিও ডাঃ সুলতান আহমদ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, এড. মোঃ তাজুল ইসলাম, কুলাউড়া এনসি মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন, কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন,বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ ।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিউর রহিম জাদিদ, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, এডভোকেট এটিএম মান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক ফজলু, উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল মতলিব, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা ইয়াসমিন, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির,  রাবেয়া আদর্শ প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছালাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতলিব, এমপির বিশেষ সহকারী সোহেল আহমদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হোসেন মনসুর, যুবলীগ নেতা আবু মোহাম্মদ, বিমলেন্দু সেন কৃষ্ণ, সাংবাদিক শাহবান রশীদ চৌধুরী অনি প্রমুখ।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন প্রধান অতিথি এমপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমদ সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এছাড়া বাদ জোহর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গীর্জ্জায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনাসহ উপজেলা মসজিদে খতমে কোরআনসহ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়

সভায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কবিতা আবৃতি, চিত্রাংকন, হামদ ও নাত প্রতিযোগীতার পুরস্কার এবং যুব উন্নয়নের দু’জনকে মাছ ও হাঁস মোরগ পালনে ৭০ হাজার টাকার যুবঋন বিতরন করেন এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post