সায়মাদের ভবনেই থাকতো ধর্ষক হারুন


অনলাইন ডেস্ক: ওয়ারীর শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হারুন সায়মাদের বাড়ি যে ভবনে, সেটিরই বাসিন্দা। এক মাস ধরে হারুন আটতলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন।

হারুন পারভেজের রঙের দোকানে কাজ করতো। পরিবারসহ ছোট্ট সায়মা থাকত ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায়।

ওয়ারী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হারুনই ভবনের অন্য একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে সায়মাকে হত্যা করেছেন। ফাঁকা ফ্ল্যাটটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। এ কারণে সেখানে কেউ বসবাস করছিল না।

এর আগে ওসি জানিয়েছিলেন, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। হত্যাকারী একজনই।

সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, শুনেছি আমার মেয়ের হত্যাকারী সনাক্ত হয়েছে। হত্যাকারী অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

গত শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদের সামনের ভবনের নির্মাণাধীন একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মার মরদেহ। সে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল।

গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সায়মার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন সোহেল মাহমুদ। তদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ বলেন, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এ আলামত পাওয়া গেছে।

সোহেল মাহমুদ আরো বলেন, এ ব্যাপারে আরো স্পষ্ট হতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম শুক্রবার বলেন, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি, আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post