কুলাউড়ায় সপ লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন


বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলা রাজস্ব প্রশাসনের আয়োজনে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত 'একসনা বন্দোবস্ত' ভিত্তিক চান্দিনা ভিটির ১৪২৬ বাংলার  সপ লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় রবিরবাজার, পেকুরবাজারসহ কুলাউড়ার ৫টি বাজারে পুর্বের দু’জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ আরো ৫৮জন ব্যবসায়ীকে বৈধ সপ লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাদি-উর রহিম জাদিদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সম্পাদক মইনুল ইসলাম শামীম, সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল ও মাহফুজ শাকিল, সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী রবিরবাজারের এরশাদ আলী ও মিজান আহমদ, পেকুরবাজারের হাজী লোকমান হোসেন ও ঘাটেরবাজারের খোকা দাস। অনুষ্টানে কুলাউড়া প্রেসক্লাব সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশসহ বিভিন্ন মিডিয়া কর্মী, রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। 

লিজ গ্রহীতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ইজারাদাররা আমাদের হুমকিও প্রদান করে দৈনিক অতিরিক্ত টোল আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নাই। সরকার সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় এখন বৈধ লাইসেন্স পেয়েছি। আমরা এখন খুবই খুশি। ধন্যবাদ জানাই কুলাউড়ার রাজস্ব প্রশাসনকে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাদি-উর রহিম জাদিদ বলেন, বিগত ৫০ বছরে কুলাউড়ায় মাত্র দু’জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বৈধ লাইসেন্সধারী লিজ গ্রহীতা ছিলেন। আমি কুলাউড়ায় যোগদান করার পর আরো ৫৮জন ব্যবসায়ীকে জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলামের অনুমোদনক্রমে বৈধ লাইসেন্স প্রদান করেছি। ব্যবসায়ীরা এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে। তাদের কাছ থেকে কোন ইজারাদার আর টোল আদায় করতে পারবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, কুলাউড়ার বিভিন্ন বাজারে দীর্ঘদিনের অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হতে যাচ্ছে। উপজেলা রাজস্ব প্রশাসন সপ লাইসেন্সের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বৈধ লাইসেন্স প্রদান করবে। বাজারগুলোকে যদি নিয়মিত করতে পারি, তাহলে সরকার এখান থেকে রাজস্ব পাবে। যারফলে ব্যবসায়ীরা বৈধ লাইসেন্স পাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ এর উদ্দোগের প্রশংসা করে বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ যারা অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে তারা সরকারীভাবে বৈধতা পাওয়ায় একদিকে ব্যবসায়ীরা হয়রানীমুক্ত হলেন। অপরদিকে সরকার প্রতি বছর তাদের কাছ থেকে নবায়ন ফি বাবৎ রাজস্ব আদায় করার সুযোগ পাবে। 

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়ায় সরকারি ২৪টি হাট-বাজার রয়েছে। এরমধ্য ১২টি হাট-বাজারের পেরি-ফেরি সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি বাজারগুলো সীমান নির্ধারণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ১৪২৬ বাংলা সনে একসনা বন্দোবস্তের মাধ্যমে বৈধতা পেলেন ৬০জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তন্মধ্যে রবিরবাজারে ৩৬ জন, পেকুরবাজার ১৪জন, নছিরগঞ্জ বাজার ৮জন, ঘাটের বাজার ১জন ও ফুলেরতল বাজার ১জন ব্যবসায়ী বৈধ লাইসেন্স পেয়েছেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post