অনলাইন ডেস্কঃ
ভেনিজুয়েলার ‘বৈধ প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন জানিয়েছে
দেশটির সেনাবাহিনী। সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে ভারপ্রাপ্ত
প্রেসিডেন্ট দাবি করায় মাদুরোর মধ্যে যে ‘ভয়’ ঢুকেছিল, সেনাবাহিনী পাশে
দাঁড়ানোয় তা অনেকটাই কমে গেল।
মাদুরোর প্রতি সেনাবাহিনীর সমর্থন অবশ্য হুয়ান গুয়াইদোর আত্মবিশ্বাসে দৃশ্যত কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি। উল্টো বলেছেন, ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি মাদুরোর জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করতে পারেন।
এদিকে বিরোধীদের ওপর কোনো ধরনের বল প্রয়োগ না করতে মাদুরোকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৫ বছর বয়সী গুয়াইদোকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তেলসমৃদ্ধ হলেও দুর্নীতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভেনিজুয়েলা ভঙ্গুর অর্থনীতির এক দেশ। এর মধ্যে গত বুধবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান ও বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুয়াইদো হঠাত্ নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ দাবি করলে দেশটি চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ গুয়াইদোর প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সমর্থনও জানায়। সমর্থনকারী দেশের তালিকায় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মতো লাতিন আমেরিকার অনেক দেশও রয়েছে। অন্যদিকে মাদুরোর প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া, চীন, মেক্সিকো, কিউবা, বলিভিয়া ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ। জার্মানি জানিয়েছে, শিগগিরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুয়াইদোকে সমর্থন জানাতে পারে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন হুগো শাভেজের উত্তরসূরি এবং সমাজতন্ত্রের মূল্যবোধে বিশ্বাসী নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। বাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাসী গুয়াইদো ও তাঁর অনুসারীদের দাবি, ৫৬ বছর বয়সী মাদুরো জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন।
এ অবস্থায় গত বুধবার ভেনিজুয়েলায় সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এর মধ্যে কারাকাসের এক বিক্ষোভে নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করেন গুয়াইদো। তবে পরের দিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরোকেই সমর্থন জানায় দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ভ্লাদিমির পাদ্রিনো বলেন, ‘নিকোলাস মাদুরো এখনো ভেনিজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট এবং সেনাবাহিনী তাঁকে রক্ষা করবে।’ পাদ্রিনোর এ ঘোষণার পর সেনাবাহিনীর আরো আট জেনারেল মাদুরোকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দেন, যা রাষ্ট্রায় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
এদিকে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাইরের সরকারের মদদে ভেনিজুয়েলায় একটি অভ্যুত্থান দানা বাঁধার চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইউনিভিশন’-এ দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গুয়াইদো বলেছেন, ‘মাদুরো ক্ষমতা ছাড়লে তাঁকে সাধারণ ক্ষমা করা যেতে পারে।’
বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, গুয়াইদোর প্রতি কারো কারো সমর্থন থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলের জন্য তা যথেষ্ট নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইউরোশিয়া গ্রুপ’-এর বিশ্লেষকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়েছে। এতে তিনি হয়তো পাকাপোক্তভাবে প্রধান বিরোধী নেতার তকমা পাবেন; কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলায় গত কয়েক দিনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর যেন কোনো বলপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য বৃহস্পতিবার মাদুরোকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেই সঙ্গে গুয়াইদোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মাদুরো-গুয়াইদোর ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক দূরত্ব আরো বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ভেনিজুয়েলায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অনেক কর্মীকে দেশে ফিরতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দূতাবাস বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গুয়াইদোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।’ এর আগে মার্কিন কূটনীতিকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেনিজুয়েলা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদুরো। অন্যদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র মাদুরো সরকারকে অর্থায়ন বন্ধ করতে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় না বসলে ভেনিজুয়েলার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
মাদুরোর প্রতি সেনাবাহিনীর সমর্থন অবশ্য হুয়ান গুয়াইদোর আত্মবিশ্বাসে দৃশ্যত কোনো ফাটল ধরাতে পারেনি। উল্টো বলেছেন, ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে তিনি মাদুরোর জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করতে পারেন।
এদিকে বিরোধীদের ওপর কোনো ধরনের বল প্রয়োগ না করতে মাদুরোকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৫ বছর বয়সী গুয়াইদোকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তেলসমৃদ্ধ হলেও দুর্নীতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভেনিজুয়েলা ভঙ্গুর অর্থনীতির এক দেশ। এর মধ্যে গত বুধবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান ও বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুয়াইদো হঠাত্ নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ দাবি করলে দেশটি চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ গুয়াইদোর প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সমর্থনও জানায়। সমর্থনকারী দেশের তালিকায় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মতো লাতিন আমেরিকার অনেক দেশও রয়েছে। অন্যদিকে মাদুরোর প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া, চীন, মেক্সিকো, কিউবা, বলিভিয়া ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ। জার্মানি জানিয়েছে, শিগগিরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুয়াইদোকে সমর্থন জানাতে পারে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন হুগো শাভেজের উত্তরসূরি এবং সমাজতন্ত্রের মূল্যবোধে বিশ্বাসী নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। বাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাসী গুয়াইদো ও তাঁর অনুসারীদের দাবি, ৫৬ বছর বয়সী মাদুরো জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন।
এ অবস্থায় গত বুধবার ভেনিজুয়েলায় সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এর মধ্যে কারাকাসের এক বিক্ষোভে নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করেন গুয়াইদো। তবে পরের দিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরোকেই সমর্থন জানায় দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ভ্লাদিমির পাদ্রিনো বলেন, ‘নিকোলাস মাদুরো এখনো ভেনিজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট এবং সেনাবাহিনী তাঁকে রক্ষা করবে।’ পাদ্রিনোর এ ঘোষণার পর সেনাবাহিনীর আরো আট জেনারেল মাদুরোকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দেন, যা রাষ্ট্রায় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
এদিকে মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাইরের সরকারের মদদে ভেনিজুয়েলায় একটি অভ্যুত্থান দানা বাঁধার চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইউনিভিশন’-এ দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গুয়াইদো বলেছেন, ‘মাদুরো ক্ষমতা ছাড়লে তাঁকে সাধারণ ক্ষমা করা যেতে পারে।’
বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, গুয়াইদোর প্রতি কারো কারো সমর্থন থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলের জন্য তা যথেষ্ট নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইউরোশিয়া গ্রুপ’-এর বিশ্লেষকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়েছে। এতে তিনি হয়তো পাকাপোক্তভাবে প্রধান বিরোধী নেতার তকমা পাবেন; কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলায় গত কয়েক দিনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর যেন কোনো বলপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য বৃহস্পতিবার মাদুরোকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেই সঙ্গে গুয়াইদোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মাদুরো-গুয়াইদোর ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক দূরত্ব আরো বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ভেনিজুয়েলায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অনেক কর্মীকে দেশে ফিরতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দূতাবাস বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গুয়াইদোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।’ এর আগে মার্কিন কূটনীতিকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেনিজুয়েলা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদুরো। অন্যদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র মাদুরো সরকারকে অর্থায়ন বন্ধ করতে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় না বসলে ভেনিজুয়েলার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।