ডাকসু নির্বাচনে শোভাযাত্রা-শোডাউন করা যাবে না


অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ বছর পর দেশের ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’খ্যাত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।

বুধবার ডাকসুর সভাপতি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত গঠনতন্ত্রের ৮(ই) ধারা অনুযায়ী তিনি তারিখ ঘোষণা করেন।

এদিকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের খসড়া আচরণবিধি প্রস্তুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চূড়ান্ত করার আগে এ সম্পর্কিত মতামত জানতে চেয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোকে চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

খসড়া আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।

প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে নির্বাচনের দিনের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। প্রচারণা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রচারণায় কোনো ধরনের যানবাহন ও মোটরসাইকেল ও মোটরযান সহকারে শোভাযাত্রা, শোডাউন বা মিছিল করা যাবে না।

ভোটারদের আনা-নেয়ার জন্য কোনো ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র ডাকসু নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত যানবাহন নির্বাচনী এলাকায় চলাচল করতে পারবে।

লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। প্রার্থী নিজের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছপালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।

সভা, সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করতে চাইলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। তবে প্রতিটি হলে একটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি প্রজেকশন মিটিংয়ের বেশি করা যাবে না।

এছাড়া কোনো প্রার্থীর পক্ষে আলোকসজ্জা, তোরণ, ফেস্টুন বা ব্যানার করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর পক্ষে টি-শার্ট অথবা যে কোনো ধরনের পোশাকে ছবি ছেপে বা কিছু লিখে প্রচার চালানো যাবে না।

অনলাইন বা অফলাইনের কোনো মাধ্যমেই প্রচারণায় কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে হলগুলোতে বহিরাগতদের কোনো অবস্থান থাকবে না। যারা ভোটার বা নিয়মিত ছাত্র তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধে নীতিমালা করা হবে। কেউ যাতে ভোটারদের উপঢৌকন দিয়ে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য থাকবে নির্দেশনা।

এদিকে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়া অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন একাডেমিক ভবনগুলোতে ভোটগ্রহণ করার দাবি জানালেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলগুলোতে ভোটগ্রহণের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে।

ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post