অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে গুলি করে দুজনকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ৫২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক ৫০ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। বাকি দুজন অসুস্থ থাকায় তাদের জামিন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে হাজির হওয়ার পর জামিন চাইলে এ আদেশ দেন সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হচ্ছেন- দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি গ্রামের মৃত কাজী কুতুব উদ্দিনের ছেলে কাজী ফরহাদ (৩২), কাজী কাচা মিয়ার ছেলে কাজী নুমান আহমদ (৩০), আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে ফারহান আহমদ (২৭), মৃত ধন মিয়ার ছেলে কাজী ময়নুল (৩৭), মৃত আমই এর ছেলে রায়হান আহমদ (৩০) ও সাহাব আহমদ (৩০), মখলিছুর রহমানের ছেলে রাজীকুর রহমান রাজীক (৩০), মৃত আবদুল গফুরের ছেলে জাকির আহমদ (২৮), সারো মিয়ার ছেলে সাবিক আহমদ (৩০) ও সাহেল আহমদ (২৮), সাদিক মিয়া ড্রাইভারের ছেলে মুন্না আহমদ (৩০) ও মান্না আহমদ (২৮), রিয়াছদ উল্লাহর ছেলে সুজন উল্লাহ (৪০) ও রাজন মিয়া (৪২), মৃত তোরন মিয়ার ছেলে সেলিম ড্রাইভার (৪২), মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আমজদ (৩৫), মৃত তরুন মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (৩০) ও আলাউদ্দিন (২৮), মৃত গৌছ আলীর ছেলে ছাদেক মিয়া ড্রাইভার (৫২) ও লায়েক আহমদ (৩০), ফুকু মিয়ার ছেলে ইকবাল আহমদ (২৭) ও লিমন আহমদ (৩৩), মখন মিয়ার ছেলে টিপু আহমদ (৩৮), আমীর আলীর ছেলে রুমান মিয়া (৪২), মৃত পংকি মিয়ার ছেলে কাশেম মিয়া (৩০), মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে খছরু মিয়া (৫৫) ও কাচা মিয়া (৫৩), খছরু মিয়ার ছেলে মুকিত মিয়া (৩০) ও শহীদ মিয়া (২৭), আব্দুল মজিদের ছেলে শফিক মিয়া (৫০), মৃত হাজী আছদ্দর আলীর ছেলে ইরা মিয়া (৫৬), মৃত এখলাছের ছেলে লায়েক আহমদ (৩২), মৃত মাখন মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ (৩৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে তারেক আহমদ (৩০) ও তায়েফ আহমদ (২৬), মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে ফয়জুর রহমান (৫৫) ও তার ছেলে জাকের রহমান (২৮), খালিক মিয়ার ছেলে আফছর আহমদ (৩০), মইন উদ্দিন মনুর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর (২৬) ও সুহেল আহমদ (৩০), মৃত ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে তারেক (২৩), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে লুৎফুর (৪০), শাহজাহান মিয়ার ছেলে জাফর আহমদ (৩৫), আব্দুল মজিদের ছেলে এহসানুল হক সানু (৩৫), মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মৃত নেছার মিয়ার ছেলে সাহেল শাহ (৩০), আকবর আলীর ছেলে আলী আব্বাছ (২৪) ও আলী বক্স (২৬), কোম্পানীগঞ্জের গৌলেরপাড় এলাকার নূর ইসলামের ছেলে বিল্লাল (২৪), আকমল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮)।
তবে বরইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ফটিক আহমদ (৫৫) ও মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৬২) অসুস্থ থাকায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৬ মার্চ সকালে বরইকান্দি গ্রামের ১০নং রোডের বাসিন্দা ও কোম্পানিগঞ্জ ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ আলফু মিয়া এবং ৩নং রোডের বাসিন্দা বরইকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গৌছ মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে গৌছ মিয়ার পক্ষের বাবুল আহমদ ও মাসুক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও অন্তত ৩৫ জন।
এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ দক্ষিণ সুরমা থানায় নিহত বাবুল আহমদের ভাই সেবুল আহমদ ১১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং আরও ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
