অনলাইন ডেস্কঃ ব্যবসার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নগরীর উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের তিন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। তারা হচ্ছে- কুয়াতে ফুতসু, আমেলিন মাওয়াবো ও এমবিদা একানি।
দু’জন ক্যামেরুনের নাগরিক বলে জানা গেছে।
তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল সেট, ২টি পাসপোর্ট, ১টি ভুয়া আমেরিকান আইডি কার্ড, ৫০০ মূল্যমানের ১২৪টি ইউরো নোট সমপরিমাণ ৬২ লাখ টাকা, বাংলাদেশি সর্বমোট ২১ হাজার একশত টাকা, ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১ উত্তরার একটি দল নগরীর উত্তরা ও বসুন্ধরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
এ সময় র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল সারওয়ার বিন কাশেম, সহকারী পরিচালক (ডিডি) মেজর রইসুল আযম মনি ও সিনিয়র এএসপি মো: মিজানুর রহমান ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, গত ৭ নভেম্বর জিয়া উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা লিখিতভাবে র্যাব-১ এ অভিযোগ করেন যে, একটি প্রতারক চক্রের সদস্যরা তার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করে। এক পর্যায়ে তারা তার কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি দেশীয় টাকার সমপরিমান ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে জিয়া উদ্দিন আহমেদ গুলশান থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও (জিডি) করেন।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, বাংলাদেশে ১১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে তার সঙ্গে (জিয়া উদ্দিন) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে ক্যামেরুনের নাগরিক কুয়াতে ফুতসু।
ব্যবসার কথা বলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জিয়ার সঙ্গে দেখা করতেন ওই প্রতারক চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে জিয়ার কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো চান সমপরিমাণ ডলারের বিনিময়ে। এজন্য জিয়াকে ২০ লাখ টাকা বেশি দিতে চাইলে তিনিও আগ্রহী হয়ে ইউরো যোগাড় করেন।
মুফতি মাহমুদ বলেন, কুয়াতে ফুতসু কৌশলে ডলার না দিয়েই ইউরো নিয়ে চলে যান এবং ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।