অনলাইন ডেস্কঃ ‘রাজনীতি’ নিয়ে বিপাকেই পড়েছেন ছবিটির নায়ক শাকিব খান ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে। ছবিতে শাকিব খান সংলাপে একটি মোবাইল ফোন নম্বর বলেন, এবং ঘটনাচক্রে সেটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার রাজমিস্ত্রি ইজাজুল মিয়ার (২৫) নম্বর। ছবিটি মুক্তির পর থেকেই তাই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছিলেন ইজাজুল। বিড়ম্বনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তিনি গত রোববার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ছবির প্রযোজক আশফাক আহমেদ, পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রযোজক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন ইজাজুল।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় শাকিব খানের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে কলকাতায় ‘চালবাজ’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ব্যস্ততার মাঝেই শাকিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা। কারণ শিল্পী হিসেবে আমি শুধু চিত্রনাট্যের সংলাপ বলেছি, এখানে কত নম্বর বলা হলো, নম্বরটা কার সেই বিষয়টি আমার জানার কথা নয়। আমি শিল্পী হিসেবে আমার সঠিক অভিনয়টা করতে চেষ্টা করেছি। আমি দেশে ফিরে এই বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলব।
ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘এটি আসলে দুঃখজনক। কারণ আমি যখন এই নম্বরটা দিয়েছিলাম, তখন এই নম্বরটি বন্ধ ছিল। আর বন্ধ দেখেই আসলে এই নম্বর ব্যবহার করেছিলাম। এমন একটা ঘটনা ঘটবে তা বুঝতে পারিনি।’
মামলার বিষয়ে পরিচালক আরো বলেন, ‘আমি শুনেছি মামলা হয়েছে কিন্তু আমার হাতে এখনো কোনো কাগজ আসেনি। আমি এখন কাগজের জন্য অপেক্ষা করছি। কাগজ হাতে পেলেই আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব। আলোচনা করেই আমি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে নায়ক শাকিব খান, নায়িকা অপু বিশ্বাসকে একটি মুঠোফোন নম্বর দেন। ওই নম্বরটি ইজাজুলের ফোন নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর শাকিব খানের মুঠোফোন নম্বর মনে করে অসংখ্য নারী-পুরুষ ইজাজুলকে ফোন করতে থাকে। দেশ-বিদেশ থেকে শাকিবভক্তদের আসা এসব ফোনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ইজাজুল।
ইজাজুল আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, তাঁর স্ত্রীকে কিছুতেই বোঝানো যায়নি। নিজেকে নায়ক শাকিব খান পরিচয় দিয়ে পরনারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ এনে স্ত্রী মিশু আক্তার বাপের বাড়িতে চলে গেছে ১৭ মাস বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা ইমুকে নিয়ে। পরে অবশ্য ‘রাজনীতি’ সিনেমা দেখে স্ত্রী মিশুর ভুল ভাঙে।