কুলাউড়া ও বড়লেখা থেকে একই দিনে ৬ লাশ উদ্ধার

নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলা থেকে ৬টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ৭ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গা হতে এ ৬ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

কুলাউড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ এ ৬ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো, কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের উম্মর আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক আসাদ আলী (১৯), একই উপজেলার কর্মধার ইউনিয়নের মনসুর এলাকার আশোক দেবের মেয়ে বৈশাখী দেব (০৬), বড়লেখা উপজেলার গাজিটেকা গ্রামের ছলফু মিয়ার মেয়ে মাহি আক্তার (৫) ও মুরাদ আহমেদ (৪), তালিমপুর গ্রামের মছকন্দন আলীর মেয়ে খাদিজা বেগম (৮) এবং নোয়াগাঁও গ্রামের নানু মিয়ার মেয়ে তামান্না বেগম (১১)।

জানা যায়, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা বাগানের লালপুর কাটাবিল এলাকা থেকে আসাদ আলী (১৯) নামের অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসাদ উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের উম্মর আলীর ছেলে। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে তার সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের ৪দিন পর ৪সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা বাগানের লালপুর কাটাবিল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে কেউ তাকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

এদিকে দুপুর ২টার দিকে এই উপজেলার কর্মধার ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে আশোক দেবের মেয়ে বৈশাখী দেব (০৬) এক শিশুর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, বাড়ির পাশের পুকুরে হাত-পা ধুতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় বৈশাখী। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বড়লেখা উপজেলার গাজিটেকা এলাকায় বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে ছলফু মিয়ার মেয়ে মাহি আক্তার (৫) ও মুরাদ আহমেদ (৪) নামের ২ ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, দুপুর ১২ দিকে মাহি ও মুরাদ তাদের বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলতে গেলে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তাদেরকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া দুপুরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তালিমপুর গ্রামের মছকন্দন আলীর মেয়ে খাদিজা বেগম (৮)। সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে বর্ণী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের নানু মিয়ার মেয়ে তামান্না দুপুরে নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যায় স্বজনরা বাড়ির পাশের রাতখাল নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post