অভিভাবকের দামি স্মার্ট ফোনে নষ্ট হচ্ছে ছেলেমেয়েরা

হিফজুর রহমান তুহিন: আমাদের দেশে অধিকাংশ অভিভাবকরা আজ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ছেলে মেয়েদের হাতে দামি দেশী বিদেশী ক্যামেরা মোবাইল ফোন সেট কিনে দিচ্ছেন ও অভিভাবকের অজান্তে কোনো একটি প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমেই উপহার হিসেবে দিয়ে যে ক্ষতি তারা করছেন, তার ভয়াবহ মাশুল'ই আজকের এ অবস্থা। 
আপনি মনে'র আবেগে দিচ্ছেন কিন্তু সে কী সেই মনের আবেগের কথার মূল্য দিবে ছেলে মেয়ে।। কোন এক সময় সে আদরের ছেলেমেয়ে সাথে আবেগের সাথে কথা বলবে ওরা ঠিক তাকতে পারবে কী এরা বর্তমান পরিস্থিতি'র উপর তবে এর অবস্থা কী। এতে দেখতে পারবেন অর্থ মেধা, সময়, স্বাস্থ্য ও পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায়-স্কুল কলেজ একটি ছেলে বা মেয়ের কাছে একটি স্মার্ট মোবাইল সেট আছে প্রত্যেক পড়ালেখার সময় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত কাজকর্ম ধর্ম-কর্ম ছেড়ে এবং ঘুম হারাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে আলাপ চারিতায় ফোন এবং ফেইজবুক। বিশেষ করে রাত ১২টার পর ওরা বিভিন্ন মোবাইলফোন কোম্পানি বিশেষ অফার নিয়ে সময়'টুকু উপভোগ করে, বিশেষ করে ফেইজবুক হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করছে। জড়িয়ে পড়ছে ফেইজবুক নেশায়, বন্ধুত্বের বিনিময় শুরু হবে পারিবারে ঝগড়া কলহ প্রশ্ন হচ্ছে এর শেষ কোথায়? যদিও আমাদের দেশে ১৬ বছরের নিচের ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো কারণ আছে। আমাদের স্বীকার করতে হবে, এর উপকারিতা অবশ্যই অপকারিতার ঊর্ধ্বে। তারপরও স্থান, কাল, পরিস্থিতি বিবেচনা যোগ্য। একটা সময় ছিল, যখন মোবাইলের ব্যাপক প্রচলন ছিল না। তখন মানুষ কী করত,আমরা তা ভুলে যাইনি। তারপরও চলমান বিশ্বের দাবি এটা। কিন্তু তখন তারাই মোবাইল ব্যবহার করত যাদের প্রয়োজন ছিল আর ছিল সামর্থ্য। এখন সবার সামর্থ্য আছে,কিন্তু প্রয়োজন কতটুকু?এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে গেলে অনেকে'ই এই দোষে দুষি হবো। দোষ বলছি এই কারণে,অপাত্রে কন্যা দানের মতো যন্ত্রটির অপব্যবহার হচ্ছে খুব বেশি।আর তা আমাদের জন্যই। বর্তমানে মাধ্যমিক স্কুল পড়ুয়া হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আধুনিক সব ফিচার সংবলিত মোবাইল ব্যবহার করে। কে তাকে দিল এই মোবাইল ফোন? অবশ্যই আমরা অভিভাবকরা।কিন্তু কতটুকু প্রয়োজন এই ছোট্ট ছেলে বা মেয়েটির? স্কুল পড়ুয়া বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে অনাবাসিক।স্কুলে ব্যয় করা ৪-৫ ঘণ্টা সময় ছাড়া বাকি সময়টা সে বাড়িতে বা খেলার মাঠে দিয়ে থাকে।সে এই সময় মোবাইল দিয়ে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে? উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছেলেমেয়েরাও এ থেকে বাদ যাবে না এবার এইচএসি পরীক্ষায় পাশ করেছি স্মার্ট দিতে হবে অভিভাব'কের কাছে বায়না সন্তানের এটুকু পূরণ করতে হবে মেয়ে'টি সামান্য টাকার একটি ফোন চেয়েছে।আমাদের জানতে ইচ্ছে হয়না কতটুকু প্রয়োজন?এই প্রয়োজনটা কি আজ থেকে ১০ বছর আগে কারো ছিল না! যখন মোবাইল অহরহ ছিল না।তর্কের খাতিরে যদি মানতে হয়,তবে বলছি হয়। অভিভাবক তার সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অর্থাৎ,কোথায় কী অবস্থায় আছে তা জানার জন্য মোবাইলের এই ব্যবহার। কিন্তু দিনে কয়টা ফোন তারা অভিভাবাক'কে-করে আর কয়টা ফোন তাদের এড়িয়ে করা হয়,তার খবর কি আমরা জানি? অবাক করা বিষয় হলো, আমাদের দেশে অধিকাং স্কুল কলেজ গুলোতে ছেলে মেয়েরা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে এতে করে মনযোগ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।আবার উন্নত কলেজ কিংবা স্কুল গুলোতে স্মার্ট ফোন সেট ব্যবহার নিষিদ্ধ।বর্তমানে আমাদের ছেলেমেয়ে খারাপ হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারণ এই স্মার্ট ফোন।কী নেই এই ফোনে? বর্তমানে অধিকাংশ

ছেলেমেয়েকে দেখা যায় সারাক্ষণ কানের ভেতর হেডফোন ঢুকিয়ে ব্যস্ত থাকে।এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এফএম রেডিও, গান, গজল, শুনতে শুনতে এদের কান ঝালাপালা। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণ শারীরিক ক্ষতিও রয়েছে।রয়েছে হারানোর ভয়। ফোনটি সব সময় ঠিক জায়গায় আছে কি না তা নিয়ে মনকে সতর্ক রাখতে হয়। মোবাইল হারানোর ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় নানা সমস্যা।শুনেছি গবেষকরা মোবাইল ফোন ও এর সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর ভয়জনিত অসুখের একটি নামও দিয়েছেন যাই হোক। বর্তমানে মনোবিজ্ঞানীরা চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। ছেলেমেয়ে'রা পড়া লেখায় স্মার্ট ফোনের কারনে অমনযোগ সন্ধ্যার পড়তে বসবে টেবিলে আজকাল বসতেছে ফেইজবুকে ও গুপনে ফোন নিয়ে টেবিলের কোনে, এর জন্য কারা দায়ী? যদি বলি দেশের প্রতিটি "অভিভাবকের দামি স্মার্ট ফোনে নষ্ট হচ্ছে ছেলেমেয়ে'রা"মোবাইল ফোন উপহার দেয়ার পর খেয়াল রাখা উচিত বাবা,ছেলেমেয়ে কোথায় আলাপ করছে কার সাথে এবং কেন? ওরা না হয়তো অবুঝ তাদের বুঝানো পরিবারের অভিভাবাক হতে শুরু প্রতি'টি সদস্যর দায়িত্ব মোবাইল ব্যববহারের একটি বয়স আছে সেই বয়সেই ব্যবহারের সময়'টা বলে দিবে তাদের।আপনি জানেন শেষ জীবন'টা তাদের কি রকম হবে মোবাইল ফোনের আদর'টা একটু কম করাটাই বর্তমান সময়ের জন্য ভালো।তারা নিজ দায়িত্বে খেয়াল রেখে এ ধরনে সমস্যাট'টি কিছুটা দুর করতে হবে আপনি আবেগের মায়া'য় ছেলে মেয়েকে দামি স্মাট ফোন না দিয়ে আপনি স্নেহ মমতা দিয়ে ছেলে সন্তানকে বোঝান আসলে এই মোবাইলের তার জন্য ছাত্র জীবনে অনেক বড় ক্ষতিকর।এই স্মার্ট ফোনের মােধ্যমেই একজন মেয়েকে ঘরের বাইরে বের করে আনতে পারে অসৎ চক্র, যা আপনার পরিবারের জন্য সারা'টি জীবন দুঃখের শেষ থাকবেনা জীবন্ত লাশের মতো বাঁচতে হবে।

আসুন দামী স্মার্ট ফোনের ক্ষতি' সম্পর্কে নিজেও সচেতন হই পরিবারের সবাই'কে সচেতন করি।

Post a Comment

Previous Post Next Post