সিলেটে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ছুঁতে পারেননি ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের। পুঁজির সঙ্কট ও লবনের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লক্ষ্য পুরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবার কোরবানির সিলেট জেলায় প্রায় এক লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চামড়া ব্যবসায়ীদের। কিন্তু রোববার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৬০-৬৫ হাজার।

আড়তদার আর ট্যানারি মালিকদের কাছে তিন বছর ধরে বকেয়া থাকা পাওনা ঠিকমতো না পাওয়া ও লবণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে পুঁজির সংকট। ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নেই। তিন বছর ধরে আড়তদারদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। কিন্তু এবার মাত্র ৩০ শতাংশ পাওনা আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

জালালাবাদ লেদার-এর সত্ত্বাধিকারী মো. শাহীন মিয়া বলেন, কয়েক বছর ধরেই চামড়া ব্যবসায়ীদের দুর্দিন চলছে। সিলেটের অন্তত ৩০০ চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশিরভার এবার ক্ষতির আশঙ্কায় চামড়া সংগ্রহ করেননি।

তিনি বলেন, লবণের দাম চড়া। ঈদের আগেও প্রতিমণ লবণ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। আর এখন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকা। এত চড়াদামে লবণ কিনে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার দুপুরে নগরীর ঝলোপাড়া এলাকায় চামড়া পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা চামড়া প্রক্রিয়াজাত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রাখলেও  শ্রমিক খরচসহ আনুষাঙ্গিক সব খরচ শেষে লাভের মুখ দেখা নিয়ে সংশয়ে তারা।

চামড়া ব্যবসায়ী ছমির উদ্দিন বলেন, আড়তদারদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এবার সামান্য টাকা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় আড়তদাররা সময়মতো চামড়া না নিলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ব্যংক ঋণ ও ধার-দেনার টাকায় কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছি। কী করব ব্যবসা তো টিকিয়ে রাখতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post