স্পোর্টস ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করেছে বাংলাদেশ।
আগের
দিনের ৬ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল যোগ করে আরও ৫২
রান। আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রান।
গুরুত্বপূর্ণ ৪৫ রান আসে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। এছাড়াও মিরাজ করেন ১১
রান আর তাইজুল শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে দলকে ৩০০ রানের
মাইলফলক অতিক্রম করতে এক ছক্কা সহ করেন ৯ রান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ন্যাথান লায়ন ৯৪ রানের খরচায় নেন ৭ উইকেট, ২ উইকেট নিতে অ্যাস্টন অ্যাগারের খরচ হয় ৫২ রান; অপর উইকেটটি রানআউট।
আগের
দিন সাব্বির আউট হয়েছেন ৬৬ রান করে; টেস্টে এটাই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত
সংগ্রহ। সৌম্য সরকার ৩৩, মুমিনুল হক ৩১ এবং সাকিব করেন ২৪ রান। তামিম ইকবাল
৯ এবং ইমরুল কায়েস ৪ রান করে আউট হন।
ইতিহাসের
প্রথম বোলার হিসেবে কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে
ফেলা নাথান লায়ন যথারীতি অস্ট্রেলিয়ান বোলিং অ্যাটাকের নায়ক। ৯৪ রানের
বিনিময়ে ৭ উইকেট নেন এই অজি স্পিনার। এই নিয়ে টানা তিন টেস্টে ৫ উইকেটের
দেখা পেলেন লায়ন। অ্যাস্টন অ্যাগার নেন দুটি উইকেট।
সকালের
সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন মুশফিক ও নাসির। জুটি
ভাঙতে না পেরে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ দলের সেরা বোলার লায়নকে
আক্রমণে আনেন। দ্বিতীয় দিন প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই সফলতা পান এই অজি
স্পিনার। তার করা ৯৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন মুশফিক।
সোমবার
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। ১১৭ রানে নেই ৫ উইকেট। এমন
বিপর্যয়ের মুখে সেঞ্চুরি জুটি গড়েন সাব্বির ও মুশফিক। এই দুজনের মধ্যকার
১০৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
সোমবার
প্রথম দিনের শেষ ঘণ্টায় হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৮২তম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরকে
ধাক্কা দেন নাথান লায়ন। তার করা ওভারের দ্বিতীয় বলে পুল করতে গিয়ে পায়ের
ব্যালান্স রাখতে পারেননি সাব্বির। পা 'চুল ব্যবধানে' শূন্যে থাকা অবস্থায়
সাব্বিরকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ম্যাথু ওয়েড।
দিনের
শেষ বেলায় উইকেট হারানোর পুরনো অভ্যাস রয়েছে বাংলাদেশের। সাব্বিরের বিদায়ে
তাই টাইগার সমর্থকরা চিন্তায় ছিলেন। তবে নাসির ও মুশফিক ৩১ রানের
অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে নিরাপদেই মাঠ ছাড়লে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।
মিরপুর
টেস্টে নাটকীয়তা ও রোমাঞ্চ শেষে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে পরাজিত করে
বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই চট্টগ্রামে মানসিকভাবে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি হোয়াইটওয়াশ
এড়ানোর মিশন।