অনলাইন ডেস্কঃ
দক্ষিণ আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলায় গৃহযুদ্ধের পটভূমি তৈরি
হয়েছে। সরকার বিরোধী আন্দোলন এবার দেশের একটি সেনা ব্যারাকে আছড়ে পড়ল।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর এমনটাই। পুরো ঘটনাকে জঙ্গি হামলার সঙ্গে তুলনা করছে ভেনেজুয়েলা সেনাবাহিনী।
রবিবার
দেশটির উত্তর পশ্চিম এলাকার ভ্যালেন্সিয়ার এক সেনা ব্যারাকে হামলা চালানো
হয়। সেনা পোশাকে পরে এই হামলা চালায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিরোধী
গোষ্ঠী। হামলা রুখতে গুলি চালায় সেনা। মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত আরও
একজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিদ্রোহীরা জলপাই
পোশাক পরে প্রেসিডেন্ট বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।
এএফপি
জানাচ্ছে, উত্তপ্ত এলাকার আকাশে অনবরত টহল দিচ্ছে বিমান বাহিনীর কপ্টার।
বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। জারি হয়েছে
কার্ফু। রাস্তায় নেমেছে সেনা। জনগণ সন্ত্রস্ত। তীব্র মার্কিন বিরোধী দেশ
হিসেবে পরিচিত ভেনেজুয়েলা। অভিযোগ আছে যে, ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনাকে
খুঁচিয়ে তুলছে মার্কিন সরকার। ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বিগ্ন।
ঘটনার জেরে বিভিন্ন দেশ তাদের দূতাবাসকে সতর্ক করেছে। গত কয়েক মাস ধরে
সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে ভেনেজুয়েলায়। রাজপথে চলেছে পুলিশ-সেনাবাহিনী
বনাম বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের। সংবিধান পুনর্লিখন করার
প্রস্তাব দিতেই নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দানা বেধে যায়।
পরিস্থিতি রক্তাক্ত আকার নিয়ে ফেলে। রাজধানী কারাকাস শহর সংঘর্ষের
কেন্দ্রে পরিণত হয়।
এরই
মাঝে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোট পান প্রেসিডেন্ট মাদুরো। যদিও এই
নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সরকার বিরোধী ক্ষোভ উগরে
দেওয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল লুইসা ওর্তেগাকে গত শনিবার বরখাস্ত করা হয়।
তারপরেই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনা ব্যারাকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
