ভারতে গণধর্ষণের শিকার কিশোর

অনলাইন ডেস্কঃ পুরুষরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হন। স্কুল, কলেজ, অফিসে কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাপদ নন। কিন্তু পুরুষদের সমস্যা নিয়ে মানুষ এতটা সোচ্চার হতে হবে। ভারতের মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক একটি ঘটনা এমনটাই ভাবতে দাঁড় করিয়ে দিল। যেখানে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গত এক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল তারই সমবয়সী ১৫ জন কিশোরের একটি দল। যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সাহস করে সম্প্রতি মুখ খুলেছে নির্যাতিত। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির একটি স্কুলে ওই নির্যাতিত নবম শ্রেণীর ছাত্র। পাড়া প্রতিবেশী এবং স্কুলে তার চেয়ে উঁচু শ্লেণীতে পাঠরত মোট ১৫ জনকে চিহ্নিত করেছে সে। যাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বাকিরা এখনও অধরা। তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৭ ধারায় অপ্রাকৃতিক যৌনতা এবং যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে (‌‌পকসো)‌ মামলা দায়ের হয়েছে।  

জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে সকলেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। সম্প্রতি ডোঙ্গরির বিশেষ জুভেনাইল আদালতে তাদের তোলা হয়েছিল। বর্তমানে জুভেনাইল আদালতের হেফাজতেই রয়েছে তারা। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুম্বাই পুলিশের মুখপাত্র ও ডেপুটি কমিশনার রশমি কারাণ্ডিকার।  

পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এক প্রতিবেশী-বন্ধু প্রথম ধর্ষণ করে ওই কিশোরকে। নিজের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিং করেছিল অভিযুক্ত। পরে অন্য বন্ধুদের সেটা দেখায়। তারপর থেকে ওই ভিডিও দেখিয়েই নির্যাতিত কিশোরকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে সকলে। বাধা দিলে বা কারও সামনে মুখ খুললে সেটা ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকিও দেয়। একবার প্রায় ৬-৭ জন মিলে একটি স্কুলের বাইরে মাঠে এক এক করে তাকে ধর্ষণ করে।  

গত দু’‌মাস ধরে একজন আবার রেস্তোঁরায় খাবে বলে ১,১০০ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। নির্যাতিত রাজি না হলে ২৬ জুন ফের সকলে মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ভয়ে আতঙ্কে এতদিন পরিবারের কাউকে কিছু জানায়নি সে। ৩১ জুলাই অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হলে এক বন্ধুকে সব কিছু খুলে বলে। ওই বন্ধু স্কুলে নির্মীয়মাণ বিলডিংয়ে কর্মরত ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে সবকিছু জানায়। তিনিই থানায় নিয়ে যান। ‘‌কুপার হাসপাতাল’‌–এ ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হলে, অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।  

Post a Comment

Previous Post Next Post