বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তঃসত্ত্বা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তঃসত্ত্বা মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের 'বড়লেখা হাসপাতালে গর্ভপাত করালেন সেবিকা, মারা গেলেন অন্তঃসত্ত্বা' শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সঞ্জয় সিংহকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিনে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার এ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে 'অর্থের বিনিময়ে গর্ভপাতকালে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর অভিযোগ' বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ১১ মে দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অর্থের বিনিময়ে গর্ভপাতের সময় মারা গেছেন লিলা বেগম (৩০) নামে এক নারী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ভর্তি না করেই অপারেশন থিয়েটারে (ওটিতে) নিয়ে গর্ভপাত করানোর সময় তিনি মারা যান।

মৃতের স্বজন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১১ মে দুপুরে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা তিন সন্তানের জননী লিলা বেগম ভাসুরের মেয়েসহ পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় ওই নারী কথা বলেন নার্সিং সুপারভাইজার জহুরা আক্তারের সঙ্গে। জহুরা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে জানান, গর্ভের বাচ্চা মারা গেছে। গর্ভপাত করাতে হলে ৩ হাজার টাকা লাগবে। টাকা দিতে সম্মত হলে লিলাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই গর্ভপাতের কাজ শুরু করেন জহুরা। এর ৫ মিনিটের মধ্যে লিলা মারা যান। এরপর তাড়াহুড়ো করে লিলার নাম-ঠিকানা নিয়ে তাকে ভর্তি দেখানোর জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেন জহুরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post