অনলাইন ডেস্কঃ রোববার রাতে তাহিরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ওপর বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়। এতে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের শিক্ষাতরী নামক বিদ্যালয়, মসজিদসহ ৬০টি বড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছেয় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
রোববার ১১ টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পৈন্ডুপ, সাহেবনগর ও রামজীবনপুর গ্রামে এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে পৈন্ডুপ ও কান্ডবপুর গ্রামের ব্র্যাকের একটি শিক্ষাতরী বৌলাই নদী থেকে উড়ে গিয়ে কান্ডবপুর গ্রামের পূর্বদিকে গিয়ে পড়ে। এছাড়াও সাহেবনগর গ্রামের দপেরকান্দা মসজিদটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এসময় স্থানীয় জেলেরা কোনো রকম প্রাণে রক্ষা পেলেও চিংড়ি মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ১২টি ছোট নৌকা, ১২টি হ্যাজাক লাইট ও একটি জেনারেটর খোয়া গেছে। ঝড়ে প্রায় ২০ জন কমবেশি আহত হন। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে তার ইউনিয়নের রামজীবনপুর, সাহেবনগর, দপেরকান্দা, কান্ডবপুর ও পৈন্ডুব গ্রামে প্রায় ২০-২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি আমি সরজমিন পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের কে সরকারি সাহায্য দেয়া হবে।