অনলাইন ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ গাছপালা উপড়ে গেছে। সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা টেকনাফে আঘাত হানে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেন্টমার্টিন ও শাহপরী দ্বীপে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, মোরার আঘাতে টেকনাফে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাতের পর প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় আঘাতের পর প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মোরার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।