ডা. সাঈদ এনাম:
আজ তেমন একটা কাজ নেই হাসপাতালে। দু'একটা মিটিং আর কিছু ফাইল দেখা। সকালে
কফিতে চুমুক দিতে দিতে মেয়েটির মানসিক সমস্যাটা নিয়ে ভাবছিলাম। একটু
ব্যাতিক্রম ধর্মী কেইস। ব্যতিক্রম কেইস গুলো নিয়ে অবসর সময়ে আমি ভাবি।
ডাক্তার রা ভাবেন। ভাবা উচিৎ। তবে সবাই মনে হয় ভাবেন না। এতো সময় কই।
আরো
কিছু ব্যতিক্রমী কেইস পেয়েছিলাম।একবার জেল থেকে এক আসামী কে নিয়ে আসে
আমাদের ডিপার্টমেন্টে কয়েক জন পুলিশ অফিসার । হাত পা বাধা। আদালত তার
মানসিক বিষয় টির উপর একটি প্রতিবেদন চায়। নিজ হাতে দু'সন্তান কে জবাই অতঃপর
স্ত্রী ও মাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার জন্য তার বিচারিক কাজ শুরু হয়েছে
আদালতে। বিজ্ঞ আদালত তার মানসিক বিষয় টি জানতে চেয়েছেন। আমাদের প্রতিবেদন
পাবার পর মহামান্য আদালত তার শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন। অধ্যাপক
গোপাল শংকর দে স্যার এর তত্ত্বাবধানে আমরা তখন ট্রনিং নিচ্ছি। স্যার অসম্ভব
ভালো একজন মানুষ। স্যারের ক্লাস নেবার স্টাইল টি একেবারেই আলাদা।
গতানুগতিক না। এসেই প্রথমে গত কালের তাঁর চেম্বারের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং
কেইস টার সিনারিও আমাদের থ্রো করবেন। শোন কাল একটা রোগীর প্রেসেন্টেশন ছিলো
এরকম ......, তার পর মতামত চাইতেন, একজন একজন করে। পোষ্ট গ্রাজুয়েশনের
সহকর্মী ডা. চীরঞ্জিব বিশ্বাস যখন তার মতামত দিতো তখন স্যার প্রায়শই সেটার
দ্বিমত করতেন হেসে হেসে। স্যার আসলে আমাদের দ্বিমত আর তর্কের মধ্যে শেখাতে
চাইতেন। মাঝেমধ্যে তিনি কেইস গুলোর সাথে মিল রেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট
গল্প বা কবিতার রেফারেন্স টানতেন। আমরা অবাক হয়ে যেতাম সাহিত্যে স্যারের
দক্ষতা দেখে। একবার "মেনচুজেন সিন্ড্রোম " নামের এক কেইস নিয়ে স্যারের
তত্ত্বাবধানে কাজ করি। সাথে ডা. চীরঞ্জীব ছিলো। কঠিন কেইস গুলো আমি আর সে
ম্যানেজ করতাম। মেনচুজেন সিনড্রোম রোগটি খুব দুর্লভ। এ রোগের রোগীরা অনেক
ক্ষেত্রে তাদের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট গুলোকে ম্যানিপুলেট করে। বার বার
ডাক্তারের কাছে যায়, "ডক্টর শপিং" করে। সেও তাই করেছিলো। সে নিজেকে
থ্যালাসেমিয়া রোগী দাবি করে ব্লাড নিতে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়। এর আগেও
সে দুবার নাকি কোথায় ভর্তি হয়ে ব্লাড নিয়েছে। ডকুমেন্ট শো করেছে ব্লাড
নেবার। কিন্তু মেডিসিন বিভাগের একটু সন্দেহ হয়। তারা ইভালুয়েশন এর জন্য
আমাদের কাছে পাঠায়। সাইকিয়াট্রিস্ট ছাড়া এ রোগ সনাক্ত করা কঠিন। আমরা সফল
হয়েছিলাম, কিন্তু পরে রোগী টি লুকিয়ে পালিয়ে যায়। সাধারণত এটেনশন ড্র করতেই
তারা এরকম করে। কিন্তু মাঝে মাঝে এর পরিণতি ভয়াবহ হয়ে যায়।
আচ্ছা
মেয়েটি বলেছিলো তার হাসবেন্ড ক্যান্সারের পেশেন্ট, বাট হাসবেন্ড কে আনার
কথা থাকলেও হাসবেন্ড আসছেনা। কোন ডকুমেন্ট ও দেখাতে পারছেনা অসুস্থতার।
মেনচুজেন সিনড্রোম নাতো আবার! নাহ এমনটি হবার কথা না। কি ভাবছি এসব।
যাহোক
কয়েদী বেশে আনা রোগী টাকে দেখিয়ে স্যার আমাকে বললেন এডমিট দা পেশেন্ট,
এন্ড ওয়ার্ক উইথ দা মাইন্ড অব দি পেসেন্ট। আমি চাই তুমি এই কাজটি করবে।
ওকে?
আমি খুব খুশি হলাম। ভেরি
ইন্টারেস্টিং কেইস বাট নট রেয়ার। ইদানিং এগুলো বেশ চোখে পড়ে সাংবাদিক দের
কল্যানে। মা শিশুকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে, মেয়ে হাত খরচের টাকার জন্য মা
বাবা কে মেরে ফেলেছে। হোন্ডা কিনে না দেয়ায় ছেলে বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে
মেরেছে। মাই গড কি ভয়াবহ অবস্থা।
কফির
কাপে চুমুক দিতে দিতে তাই ভাবছিলাম। কফি টা স্ত্রী বানিয়েছেন। ও বেশ যত্ন
করে কফি বানায়। প্রথমে পানি ফুটায়। পানি ফুটলেই বুয়া কিচেন রুম থেকে ডাক
দেয়, "খালা মামার চায়ের পানি ফুটছে, পাত্তি দেওন লাগবো"। চিকন গলায় ডাক
দেয়। আমার মেয়ে বুয়ার গলা নকল করে। "খালা পানি ফুটছে, পাত্তি দেওন লাগবো,
হে হে হে"। আচ্ছা গৃহ কর্মী দের গলা স্বর কি চিকন হয়? নাকি তারা আহ্লাদ
পেয়ে চিকন গলায় কথা বলে। অনেকটা শিশুদের মতো আরকি....।
আজকের
কফিটা বেশ ভালো হয়েছে। একেবারে কফি শপের মতো। আমি যে মফস্বল শহরে থাকি
সেখানে ভালো কফির দোকান নেই। তবে সিলেট রেল স্টেশনে দু'টো কফির দোকান আছে।
স্টেশনে ঢুকেই একটা হাতের ডানে পড়ে আরেক বায়ে, খানিকটা দূরে। ডান দোকান টার
কফি ভালো হয়। ওখানে খাওয়া হয়। আমার সাথে ভালো ভাব হয়ে গেছে। পরিচয় কফি
খাওয়া থেকে। ট্রেনের দেরী হলে আমি ওখানে কফি খাই। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাই। ওর
সাথে টুক টাক আলাপ করি। লোকটি বেশ ভদ্র। প্রথম প্রথম আমাকে তার চেয়ার টা
দিতো বসার জন্য। আমি বসতাম না। দাঁড়িয়েই খেতাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খাওয়া
একটা স্টাইল বোধহয়। বিদেশী'রা বিয়ার, কফি এ জাতীয় জিনিষ সাধারণত দাঁড়িয়ে
খায়, দু একজন মিলে কথা বলে আর খায়। মনে হয় কফির সাথে কথা মিশাচ্ছে আর
খাচ্ছে। ইন্টারনেটে হোয়াইট হাউসের ওয়েব সাইটে একবার একটা ছবি দেখেছিলাম
বিয়ার হাতে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন জিমি কার্টার, জর্জ বুশ জুনিয়র, বিল
ক্লিনটন বারাক ওবামা। সবাই হাসছেন। কি সুন্দর মিল। আমি জিমি কার্টার কে
পছন্দ করি। একবার একটা মেইল করেছিলাম ছবি টি নিয়ে। রিপ্লাই এসেছিলো,
থ্যাংকস ফর ইয়োর মেইল। আমি বেশ রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। অটো রিপ্লাই ছিলো বোধ
হয়। তাও বা কম কিসে।
কফি খেতে খেতে আমি মেয়েটির চিরকুট বের করলাম।
"বংশের বাতি জ্বালিয়ে আমি নোমানের কাছে চলে যাবো, ওর সাথে আমার কথা হয়।"।
ওর
সাথে কথা হয়, মানে ওর কিশোরী মনের ভালবাসার মানুষ টির সাথে তার মাঝেমাঝে
হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। চলে যাবে মানে ও আত্মহত্যার কথা বুঝাতে চাইছে, নাতো?
ডিপ্রেশন গভীর হলে অনেক সময় হ্যালুসিনেশন বা আত্মহত্যার চিন্তা আসে। অথবা
এও হতে পারে, নোমান নামের কারো অস্থিত্ব আছে। তবে এর সম্ভাবনা কম। কলেজের
নোমান কে আমার কাছে কল্পনাই লাগছে। আচ্ছা ওর কলেজের প্রিন্সিপাল তো আমার
বন্ধু। ওর সাথে একটু আলাপ করা যায়।
জয়নুল
, তোর কলেজে পড়তো "পিংকি" নামের কোন মেয়ে ছিলো.....ফার্স্ট ইয়ার এর ছাত্রী
পরে আর আর কমপ্লিট করে নি। আমি টেলিফোন করলাম আমার বন্ধুকে।
কেন বলতো
না এমনি
নাহ, তুই সাইকিয়াট্রিস্ট, তুই কি আর এমনি এমনি কিছু বলিস
হাও এভার একটু ভেবে বল
একটু পরে ও বললো,
হ্যা
পিংকি নামের একটি মেয়ে ছিলো। ভীষণ মেধাবী, মনোযোগী। আমরা ওকে নিয়ে বেশ
আশায় ছিলাম। এমনিতে মফস্বলের কলেজ। ভালো ছেলে মেয়ে ভর্তি হয় না। ওকে পেয়ে
আমরা স্বপ্ন দেখতাম। ও ভালো রেজাল্ট করবে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমরা
গর্বের সাথে বলতে পারবো, পিংকি আমাদের ছাত্রী ছিলো। কিন্তু একদিন ও কলেজে
আসা বন্ধ করে দিলো। পরে শুনলাম ওর বিয়ের আলাপ চলছে। আমরা ওর বাবা মায়ের
কাছে যাই। অনুরোধ করি। কিন্তু লাভ হয়না।
আচ্ছা অর কি কোন লাইকিংস টাইকিংস ছিলো
নাহ
আচ্ছা, ওদের সহপাঠী দের মধ্যে নোমান নামের কেউ ছিলো যার সাথে তার একটু ঘনিষ্ঠ তা ছিলো
নোমান নামের একজন ছিলো, তবে তার ক্লাসের না। এক ক্লাস উপরের। সেও অসম্ভব মেধাবী ছিলো। কিন্তু লাইকিংস টাইকিংস ওরকম কিছু চোখে পড়েনি।
নোমান কি আছে এখনো?
না, ছেলেটাতো টি সি নিয়ে চলে গিয়েছে, ক'মাস আগে।
কোথায়?
তাতো জানি না
তার মানে নোমান পুরোপুরি কাল্পনিক নয়।
কি ব্যাপার? কি কাল্পনিক নয়?.... আমার প্রিন্সিপাল বন্ধু প্রশ্ন করলো।
না, তেমন কিছু না। ধন্যবাদ দিয়ে আমি ফোন রেখে দিলাম।
.............
স্যার এক ভদ্র মহিলা আপনার সাথে দেখা করবেন। আসতে বলবো।
কে?
স্যার জানিনা তবে বললেন রোগীর আত্মীয়।
ঠিক আছে।
গূড ইভিনিং স্যার
গুড এভিনিং
আমি
এখানকার লেডিস ক্লাবের সেক্রেটারি, পিংকি ভাবীর ননদ। ভাবির কাছে আপনার
অনেক প্রশংসা শুনলাম। ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই। মুলত আপনাকে ধন্যবাদ
দিতে আসা। আপনি আমাদের মনের আশা পুরন করেছেন।
বেশ
কড়া মেকাপের চল্লিশোর্ধ এক মহিলা অবলিলায় হেসে হেসে কথা বলে যাচ্ছিলেন।
আমি একটু অবাক ই হলাম। এভাবেতো কেউ আসেনা। আমি তার ফেইস রিড করতে
চাচ্ছিলাম। কেনো আসছেন। কিন্তু পারছিলাম না। খুবি বুদ্ধিমতী মহিলা।
আপনি এসেছেন ভালো করেছেন। ইনফ্যাক্ট আমি আপনাদের কাউকে আশা করছিলাম। পিংকির অবস্থা কি?
স্যার
পিংকি ভাবী বেশ ভালো এখন। আপনি যে কি ওষুধ দিলেন! যাদুর মতো কাজ করলো।
আমাদের ভাবি এখন পাকা গৃহিণী। এতদিন উনাকে নিয়ে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায়
ছিলাম। কেমন মনমরা হয়ে থাকতেন। কোন কিছুর খেয়াল নেই। কি স্বামী কি সংসার।
অনেক পীর দেখিয়েছি তাবিজ দিয়েছি। মোল্লা মুন্সি মানত কিছুই বাদ দিইনি।
কিন্তু কোন লাভ হয় নি। এখনতো পুরো চেঞ্জ। উনি ঢাকা গেছে আমাদের বড় ভাইয়ের
সাথে। পিংকি ভাবীর অল্প বয়স। অল্প বয়সের আহ্লাদী বাহানা। আমরা না করিনি।
ভাইয়ের চিকিৎসা চলছে। উনার নাকি ক্যান্সার। চিকিৎসক আশা ছেড়ে দিয়েছেন
কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পিংকি ভাবীর জন্যে আমাদের
খুব কস্ট হয়। কিন্তু কি করবো স্যার সবই কপালের লিখন। আপনিই বলেন?
হ্যা, ওর জন্যে সময় টা খুব কষ্টের। আমি চেষ্টা করছি ও যাতে মানিয়ে নেয়। আমি আশাবাদী, ও পারবে। খেয়াল রাখবেন ঔষধ যেনো বন্ধ না হয়।
স্যার মনে পড়েছে আমি এই ব্যাপারটি নিয়ে আলাপ করতে এসেছি, ওতো কনসিভ করেছে। এখন ও যে ওষুধ খাচ্ছে ওগুলোতে কি কোন অসুবিধা হবে।
ও কনসিভ করেছে!!
জ্বী স্যার
কিভাবে বুঝলেন
ও বলেছে।
কোন টেস্ট, টেস্ট
না, স্যার। করাই নি। সবেইতো....
ও আচ্ছা তাই।
না, এসব ওষুধে কোন অসুবিধা হবে না।
আচ্ছা একটা ব্যক্তিগত বিষয় আপনাকে জিজ্ঞেস করি।
অবশ্যই
করুন স্যার। একটা কেনো দশটা করুন। আপনার জন্যে আমরা আমাদের বংশের বাত্তি
দেখতে পাচ্ছি। এ রকম মনমরা আর আর অসুস্থ মেয়ে নিয়ে আমরাতো বিপদেই পড়েছিলাম।
আসলে উনি এমন ছিলোনা। আমরা দেখে শুনেই এনেছি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই উনি
এরকম হয়ে গেছে। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো প্রেম ট্রেম কিছু ছিলো। মা বাবা জোর
করেই রাজী করিয়েছে। কিন্তু পরে খবর নিলাম ওরকম কিছুনা। আমাদের ধারনা ভুল,
আসলে উনি খুব ভালো মেয়ে, জাস্ট বয়সটা একটু কম। তবে এক পীর বলেছেন ও তো খুব
সুন্দর, সুন্দরী মেয়েদের পিছনে জ্বীন লেগে যায়। ওর তাই হয়েছে। জ্বীন আছর
করেছে। তিনি তাবিজ দিয়েছেন, পানি পড়া দিয়েছেন । বলেছেন কমে যাবে। আরো তাবিজ
দিবেন। কামরুক্ষামাক্ষার তাবিজ ও দিয়েছেন। তিরিশ হাজার টাকা আমরা দিয়েছি
আরো দিয়েছি একটা কালো গরু, একটা কালো কাকের পায়ের নখ, আর একটা বেজির কল্লা।
সব আমি নিজে দিয়ে এসেছি কিন্তু....
আমি
তাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, আচ্ছা আপনিতো বললেন আপনাদের ভাই বেশিদিন বাঁঁচবেন
না, ধরুন তাই হলো । পিংকির ব্যাপারে আপনাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা কি? বিষয়টা
যদিও ব্যক্তিগত, তবু ও বললাম।
সমস্যা
নেই। স্যার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি বলছেন। আপনি খুব ট্যালেন্ট। বুঝা
যায় আপনি আপনার পেশেন্টের প্রতি খুব যত্নবান। আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে মানে
আপনার ট্রিটমেন্ট স্টাইল। যাহোক সোজাই বলি আমরা চিন্তা করেছি ভাবি কে আবার
আমরা বিয়ে দিবো। আমরা "মা আর ছেলেকে" মানে আমাদের বংশের বাত্তি কে আমরা
ঘরেই রেখে দিবো। আফটার অল ওর কাছেই জড়িয়ে থাকবে আমাদের ভাইয়ের স্মৃতি। ওর
কাছে আমরা আমাদের ভাই কে খুজে পাবো।
ঘরেই রেখে দেবেন, বুঝলাম না?
ভেংগে
বলছি। আমাদের আরেকটা বড় ভাই আছেন, মেন্টালী ডিসেবল। বিয়ে শাদি করেন নি।
আমাদের প্ল্যান আছে, উনার সাথে বিয়ে দিয় দিবো পিংকি ভাবিকে। আসলে আমাদের
প্ল্যান না, এটা আমার প্ল্যান। একান্তই আমার। মেয়েটিকে তো আর আমরা জ্বলে
ভাসিয়ে দিতে পারিনা। কি বলেন?
ভদ্র মহিলার চাহনি টা ভালো ছিলোনা।
হ্যা,
এটা আপনাদের উভয় পরিবারের বিষয়। তবে ভবিষ্যতের এসব বিষয় পিংকি'র সাথে এখন
আলাপ করবেন না। বুঝতেও দিবেন না। ওর উপর দিয়ে এমনি বেশ ধকল যাচ্ছে। আর
মানুষের ভবিষ্যত একমাত্র আল্লাহই জানেন।
অবশ্যই স্যার।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন ও যেন ঔষধ বন্ধ না করে।
স্যার, আপনার সাথে আমার পার্সোনাল একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করবো। আপনার মোবাইল নাম্বার টা যদি দিতেন।
( চলবে)
লেখক: ডা. সাঈদ এনাম । এম.বি.বি.এস (ডি এম সি) এম ফিল (সাইকিয়াট্রি) সাইকিয়াট্রিস্ট ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
২য় পর্ব পড়তে লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ ২য় পর্ব লিঙ্ক