বিনোদন ডেস্ক: প্রয়াত লাকী আখান্দের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। এরপর তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শনিবার
(২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই গুণী শিল্পীর
মরদেহে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর
আরমানিটোলা মাঠে লাকী আখান্দের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ
জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর দ্বিতীয় নামাজে
জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
তাঁর
মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়া এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
শুক্রবার
সন্ধ্যায় নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা গানের কিংবদন্তি
সঙ্গীতশিল্পী লাকী আখন্দ। ২০১৫ সালে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে লাকী
আখান্দের। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনারি
কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি।
গত
৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল
(বিএসএমএমইউ) ছেড়ে আরমানিটোলায় নিজ বাসায় ফেরেন তিনি। শিল্পীকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডেও নিয়ে যাওয়া হয়। থাইল্যান্ড থেকে ফিরে তিনি
ইউনাইটেড হাসপাতাল ও বারডেমে চিকিৎসা নেন। পরে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়
তাকে।
লাকী
আখান্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। কৈশোরেই তিনি সুযোগ পেয়ে যান রেকর্ড
লেভেল প্রতিষ্ঠান এইচএমভিতে। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ছন্দ-লয়ের
টানে তিনি ভেসে চললেন সুরদরিয়ায়।
লাকী
আখন্দ ছিলেন একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার এবং গীতিকার। ১৯৮৪ সালে
সারগামের ব্যানারে বের হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম 'লাকী আখান্দ'। ওই
অ্যালবামের বেশ কয়েকটি গান ব্যাপক সাড়া ফেলে তখন।
ছোট
ভাই হ্যাপি আখান্দকে নিয়ে সৃষ্টি করেন বিখ্যাত গান 'আবার এলো যে সন্ধ্যা'।
লাকী আখান্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- এই নীল মনিহার, আমায় ডেকো
না, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, যেখানে সীমান্ত তোমার, মামনিয়া, বিতৃষ্ণা
জীবনে আমার, কি করে বললে তুমি, লিখতে পারি না কোনো গান, ভালোবেসে চলে যেও
না প্রভৃতি।
১৯৮৭
সালে ছোট ভাই হ্যাপি আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটা
স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান এই গুণী শিল্পী। মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে
লাকী আখন্দ ১৯৯৮ সালে 'পরিচয় কবে হবে' ও 'বিতৃষ্ণা জীবনে আমার' অ্যালবাম
দুটি নিয়ে আবারও ফিরে আসেন শ্রোতাদের মাঝে।