আতিয়া মহলের বিস্ফোরক শনাক্ত করতে শাবির ড্রোন

আতিয়া মহলের বিস্ফোরক শনাক্ত করতে শাবির ড্রোন
অনলাইন ডেস্কঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে ড্রোন ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। ড্রোনের সাহায্যে মঙ্গলবার আতিয়া মহলের ভেতরের ছবি তোলা হয়। ড্রোন ও এ ধরনের দূরনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবনে এলোপাতাড়ি পড়ে থাকা গ্রেনেড ও বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছে।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন থাকলেও তারা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো ড্রোন এ কাজে ব্যবহার করছে। বাড়ির ভেতরে কোথায় বিস্ফোরক রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, আতিয়া মহলের ভেতর অবিস্ফোরিত অবস্থায় হাতে তৈরি গ্রেনেড ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এ ধরনের গ্রেনেড খুব বিপজ্জনক। বিশেষ করে যদি পিন খোলা অবস্থায় কোনো গ্রেনেড পড়ে থাকে, তাহলে যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেগুলো শনাক্ত ও উদ্ধার করা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই ড্রোন ও এ ধরনের দূরনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) পঞ্চম দিনের আতিয়া মহলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম। তারা ভবনের ভেতর প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। দুপুর ১টার দিকে সেখান থেকে চারটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছিল, আতিয়া মহল এখন সেনাবাহিনীর কব্জায়। তবে ভবনের ভেতরে প্রচুর বিস্ফোরক বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই সেনাবাহিনীর অভিযান এখনই শেষ হচ্ছে না।

গত শুক্রবার থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আতিয়া মহল ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো। এদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলের কাছে পৃথক দুই বিস্ফোরণে নিহত দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট ৬ জন, আহত হন প্রায় অর্ধশত। টানা চারদিন অভিযানের পর সোমবার আতিয়া মহলের ভেতরে থাকা ৪ জঙ্গির সবাই নিহত হয়েছে বলে জানায় সেনাবাহিনী। সুত্রঃ সিলেটটুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post