কুলাউড়ায় একটি পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ

কুলাউড়ায় একটি পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ
নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু পরিবার বিগত ১০ বছর থেকে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার ২৭ মার্চ কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন নির্যাতিত মন্টু চন্দ্র মল্লিক ও তার পিতা শৈলেন্দ্র রাম মালাকার।

সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারস্পরিক বিরোধ। আদালতে এব্যাপারে স্বত্ত মামলা ও বিরোধকৃত জমিতে আদালতের ন্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছে পরিবারটি।

মন্টু চন্দ্র মল্লিক ও তার পিতা শৈলেন্দ্র রাম মালাকার অভিযোগ করেন, হাসামপুর গ্রামে একমাত্র সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার হিসেবে তাদেরই বসবাস। একই গ্রামের কুচক্রি ও সন্ত্রাসী গিয়াস উল্লাহ ২০০৭ সালের ১৪ জুলাই তাদের পরিবারের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। গিয়াস উল্লাহ ২০০৭ সালে তার ১০-১২ ভাড়াটে লোক নিয়ে শৈলেন্দ্র রাম মালাকারের খরিদা জমির গাছ বাঁশ কেটে প্রায় ৬ শতক জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। সেসময় শৈলেন্দ্র রাম মালাকার কুলাউড়ার ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করেন।

ইউএনও’র নিদের্শে আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। এরপর একই বছর ২৯ নভেম্বর গিয়াস উল্লাহ ও তার ভাড়াটে লোকজন জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে ওই জমিতে একই কায়দায় হামলা চালিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি একচালা একটি ঘর বানিয়ে ফের জবরদখলের চেষ্টা চালায় গিয়াস উল্লাহ ও তার ভাড়াটে লোকজন। প্রতিবার হামলাকালে গিয়াস উল্লাহ ও তার ভাড়াটে লোকজন গাছ বাঁশ কেটে হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন।

প্রতিকার চেয়ে নিরীহ শৈলেন্দ্র রাম মালাকার গেছেন জনপ্রতিনিধি, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। কোন প্রতিকার না পেয়ে লিখিত আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ঘটনার একটি তদন্ত হলেও পুলিশের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নাবিদ্ধ।

এদিকে শৈলেন্দ্র রাম মালাকারের আদালতের কাছে আবেদনের প্রক্ষিতে জজ আদালত কমিশন করে রিপোর্ট প্রদান করেন এবং জজ আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন। এমতাবস্থায় আতালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৫ মার্চ রাতের আধারে ফের হামলা চালানো হয়। ক্ষতিসাধন করা হয় গাছ গাছালি ও ফসলাদির।

এব্যাপারে শৈলেন্দ্র রাম মালাকার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারকে অবহিত করেন। তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। বিষয়টা অস্পষ্ট।

Post a Comment

Previous Post Next Post