অনলাইন ডেস্কঃ
পাহাড়ের বিভিন্ন জলাশয় এবং গাছাপালায় ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা
মিলছে। শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, পাখির সংখ্যাও তত বাড়ছে। রাঙামাটি ডিসি
বাংলোর বৃক্ষগুলো এখন পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। বাংলোর পেছনে হ্রদের
গাছগুলোতেও শত শত পাখি অবস্থান করছে। ভোর হলেই খাবারের খোঁজে এগুলো হ্রদে
দল বেঁধে নামছে। আবার সন্ধ্যা নামলে বন ও বাঁশ ঝাড়ে আশ্রয় নিচ্ছে। জানা
গেছে, শুধু রাঙামাটি পার্বত্য জেলা নয়, অতিথি পাখির দেখা মিলছে খাগড়াছড়ি
ও বান্দরবানেও। প্রতিদিন শীত প্রধান দেশ থেকে আসছে অগণিত পাখির দল। এরই
মধ্যে এদের আশ্রয় হয়েছে রাঙামাটি জেলার সুবলং, লংগদু, কাট্টলী, মাইনিমুখ,
সাজেক, বাঘাইছড়ি, হরিণা, বিলাইছড়ি, বরকল, খাগড়াছড়ি জেলার, তাইন্দং,
মাটিরাঙা, মহালছড়ি, পানছড়ি, দিঘিনালার বগা লেক, চেঙ্গি, আর বান্দরবানের
সাঙ্গু নদী ও পাহাড়ের বিলে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে পাতিহাঁস, ডাহোক,
কালাম, বক, ছোট সরালি, বড় সরালি, টিকি হাঁস, মাথা মোটা টিটি, চোখাচোখি,
গাং চিল, গাং কবুতর, চ্যাগা ও জল মোরগ, বইধরসহ নাম না জানা বিভিন্ন জাতের
পাখি। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সালাহ
উদ্দিন জানান, প্রতিবছর উত্তরের শীতপ্রধান সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল ও
ভারত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি বাংলাদেশে আসে। মূলত অক্টোবরের শেষ ও
নভেম্বরের প্রথম দিকেই এসব পাখি আসে। আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায়।
তিনি পাখি শিকার বন্ধের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
