আব্দুর রব: বড়লেখায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজিটেকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তান্ডব চালিয়ে ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট, ভোটার ও সমর্থকদের ওপর হামলা ও ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রীর এপিএস কবির আহমদসহ ১৪ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২০ জুন শুক্রবার রাতে থানায় মামলাটি করেছেন বড়লেখা পৌরসভা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন আহমদ।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম হেলাল উদ্দিন, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সালেহ আহমদ জুয়েল, উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবুল আহমদ, হামলার অর্থ দাতা সাইদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মস্তফা উদ্দিন বাদল, মিজানুর রহমান টিটু, সাইফুল ইসলাম, আউয়াল আহমদ, জামাল উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন তিনি ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট হিসাবে গাজিটেকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন অবস্থায় আসামি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাইদুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাবুল আহমদের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা একজোট হয়ে দা, লাঠি, হকিস্টিক, ছুরি, ডেগার ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে গাজিটেকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে থাকে। এসময় বাদিসহ ধানের শীষের অন্যান্য এজেন্টরা প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে জখম করে। দুই নং আসামি সাইদুল ইসলাম একহাতে নিজের ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত পিস্তল ঠেকিয়ে ও অন্য হাতে রাম কুড়াল নিয়ে কুপিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে। অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে ভোট কেন্দ্রে আগত সাধারণ ভোটারসহ বিএনপির ভোটার ও কর্মীদেরকে ভোট সেন্টার থেকে বের করে দেয়। এসময় ভোটকেন্দ্রে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ধানের শীষের এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে ইচ্ছামতো নৌকায় সীল মেরে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায় ।
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্যা শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।