সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম "বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত'


নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বল্প  দিনে গল্প বেশি  বিদায় দিতে নারাজ  প্রায় সিলেটের সকলেই। কাজ কর্ম , দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে  কর্মচাঞ্চল্য  সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊপপরিচালক   রফিকুল ইসলাম শামীম  মন জয় করে নিয়েছেন  কর্মক্ষেত্রে  অধীনস্থ  কর্মকর্তা -কর্মচারি ও যুব সংগঠনের উদ্যোক্তাদের।  

একের পর এক সংবর্ধনা  অনুষ্ঠান চলছে সিলেটে  যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তার। এসব অনুষ্ঠান নিজ উদ্যোগেই করছে অনেকে। ইতিপূর্বে  সিলেট জেলা  উদ্যোক্তা যুব সংগঠন, সিলেট জেলা  প্রশিক্ষিত  যুবরা, আনোয়ার ফাউন্ডেশন, দেশ যুব সংগঠন, নারী উদ্যোক্তা, জিডিএফ,সিলেট জেলা যুব উন্নয়নের  সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, সিলেট সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়, জাগ্রত যুব সংস্থা  সহ নাম  না জানা অনেকেই। 

যুব উন্নয়ন  অধিদপ্তর  সিলেটের উপপরিচালক মো:   রফিকুল ইসলাম শামীমের সিলেটে কর্মকাল সবেমাত্র দেড় বছর হলেও  বদলি জনিত কারণে   বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা  প্রমাণ করে  যেন দেড় যুগের পরিচিত এক কর্মকর্তা সকলের  কাছে। বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের   আয়োজন অনেকে করতে চাইলেও   সে সময়টুকু দিতে পারছেন না তিনি । জনবল সংকটের কারণে অফিসিয়াল  কাজ গোছাতেই যেন  ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাকে।

 তবে সিলেট থেকে বিদায়ের জালা  অনেক বেদনাদায় সে জালা বুকে নিয়েই কাজের ফাঁকে  দু একটি বিদায় সংবর্ধনায়  যোগ দিয়েছেন। 


কথা বলার ফাকে  জানালেন সিলেটি ভাষার  মাধুর্যের কথা । বলেন  সিলেটি ভাষা  অন্য ভাষার  চেয়ে  মায়াবী। শুনতে তার ভালো লাগে। চাকরিজীবনের আগে   সাংবাদিক ছিলেন তিনি। সে কারণে যেখানেই যান  সাংবাদিকদের সাথে  একটি হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে ঊঠে।

সিলেটে আসার পর  জনবল সংকটের  কারণে  একা অনেক কাজ করতে হয়েছে  যার ফলে মিডিয়ার সাথে যেভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা নিজে একজন মিডিয়া কর্মী হিসেবে  সেটি করতে না পারায়  দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। 

সরকারি রীতিনিতির কারণে কিশোরগঞ্জে বদলি হলেও। সিলেটের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক থাকবে  এমনটাই দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা। 

বিদায় উপলক্ষে  গতকাল বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায়  সিলেটের একটি  অভিজাত হোটেলে  চা চক্র অনুষ্ঠানে  এমন সব কথা হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক  সিলেট অঞ্চলের প্রথম নিবন্ধিত  অনলাইন নিউজ পোর্টাল  আজকের সিলেটে নির্বাহী সম্পাদক  ও দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার  সিলেট  ব্যুারোচীফ  এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়ার সাথে আলাপকালে। 

এ সময় সিনিয়র যুব উদ্যোক্তা  আফিকুল ইসলাম আফিক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের  দপ্তর সম্পাদক  ছাদিকুর রহমান সোহেল, যুব উদ্যোক্তা  নারী নেত্রী সোনিয়া আহমেদ কেয়া, ইংরেজি দৈনিক  দি ডেইলি  কান্ট্রি টুডে এর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রতিনিধি  উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য হাবিবা আক্তার    সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

 উল্লেখ্য,  সিলেট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক  মো: রফিকুল ইসলাম শামীম  ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল  সিলেট জেলায়   যোগদান করেন। 

চাকুরী জীবন শুরু করেন  ১৯৯৬ সালে  চট্টগ্রাম জেলায়  যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে। এর পূর্বে  শিক্ষা জীবনে  শেরে বাংলা  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  ঢাকা থেকে  উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর  কিছুদিন কাজ করেন  সাংবাদিকতা পেশায়। তার বর্তমান কর্মস্থল  কিশোরগঞ্জ জেলায়। রফিকুল ইসলাম শামীম ময়মনসিংহ জেলার কৃতি সন্তান।

Post a Comment

Previous Post Next Post