সরকার পতনের পর বেড়েছে পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা


নিউজ ডেস্কঃ শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর মাগুরায় বেড়েছে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সংখ্যা। গত একমাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভিড় করছেন ২০০ থেকে ২৫০ জন মানুষ। চাপ সামলাতে কিছুটা হিমশিম অবস্থা কর্তৃপক্ষের। 

মাগুরা শহরের ভিটাসার এলাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, ভেতরে জায়গা নেই, বাহিরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আবেদনকারীরা। তরুণ, যুবক কিংবা বৃদ্ধ, রয়েছে শিশুরাও। কেউ এসেছেন নতুন পাসপোর্ট করতে, কেউ বা আবার পুরোনো পাসপোর্ট নবায়নের জন্য।

প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই ভিড় দেখা যায়। গেল একমাসের বেশি সময় ধরে বেড়েছে পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা। এর বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে প্রতিদিন গড়ে পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ থেকে ১০০। বর্তমানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি আবেদন জমা পড়ছে। 

পাসপোর্ট নবায়ন করতে আসা আজিম শেখ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পাসপোর্ট অফিসে আগের চেয়ে ভিড় বেশি। আমার আগে পাসপোর্ট ছিল, সেটার মেয়াদ শেষের পথে তাই এখন নবায়ন করতে এসেছি। 

শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের বাসিন্দা মো. আলিমুজ্জামান বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। অনেক মানুষের চাপ তবে নিয়ম অনুযায়ী সব কার্যক্রম হচ্ছে। পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যার বিষয়ে সরাসরি উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে।

নতুন পাসপোর্ট করতে আসা পপি নামের এক নারী বলেন, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাই নতুন পাসপোর্ট করতে এসেছি। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে এসেই দেখি লম্বা সিরিয়াল। কখন আবেদন জমা দিতে পারব বুঝতে পারছি না।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন পাসপোর্ট কিংবা নবায়নে ডাটা এন্ট্রি করা হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের জন্য চোখের আইরিশসহ ছবি তোলা হচ্ছে নতুন করে। প্রতিটি কাজে গড়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লাগছে। এর মধ্যে সার্ভার ডাউনসহ নানা ধরনের প্রযুক্তিগত বিড়ম্বনা দেখা দিচ্ছে। ফলে হঠাৎ করে অধিক সংখ্যক গ্রাহক পাসপোর্ট করতে আসায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, আগস্ট থেকে পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে অফিসের সবাই সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে একদিনেই ফিঙ্গার দিয়ে আবেদনকারীরা বাসায় চলে যেতে পারছেন। আর পুলিশ রিপোর্ট এলে প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post