আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি স্থানে ফাইভজি পৌঁছে যাবে


নিউজ ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে কম্পিউটার পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার বিপ্লবেরও সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছর থেকে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের ফলে কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে যায়। এরই  ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতিমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলের ফোরজি প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক্স। ডিজিটাল সংযুক্তির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি স্থানে উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ ফাইভজি প্রযুক্তি পৌঁছে যাবে।

সোমবার (২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে সিটি আইটি মেগা ফেয়ার শীর্ষক কম্পিউটার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এএল মজহার ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার এবং সিটি আইটি মেগা ফেয়ারের আহ্বায়ক মো. জাহেদ আলী ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন।

মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমরা কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরিতে কম্পিউটার মেলার আয়োজনসহ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি। কম্পিউটার সহজলভ্য করতে নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিয়েছি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় ট্রেডবডির সময়োপযোগী ভূমিকার ফলশ্রুতিতে দেশে কম্পিউটার বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার প্রয়োজনে নতুন নতুন ডিভাইসের চাহিদা মেটাতে বিক্রয় ও সেবার বিষয়টি নতুন করে এখন ভাবতে হবে। ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরিতে কম্পিউটার শিল্প অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণেও এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। 

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আসুস, দাহুয়া, ইপসন, এইচপি, হিকভিশন, ইনফিনিক্স, লেনোভো এবং এনএসআইকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনাসহ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সরকারি প্রদত্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে  স্যামসংসহ উন্নত ব্র্যান্ডের ১৬টি মোবাইল কারখানা ইতিমধ্যে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছে। 

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপরেই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়িত হবে। ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন এবং উৎপাদিত যন্ত্র প্রমোট ও বাজারজাত করতে নীতি নির্ধারক ও ট্রেডবডিসহ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শতকরা সত্তর ভাগ তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হবে আমাদের হাতিয়ার।

Post a Comment

Previous Post Next Post