ইডেনের ঘটনা ‘দুই নেত্রীর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব’, জুড়ীতে ছাত্রলীগ সভাপতি জয়



নিউজ ডেস্কঃ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘ইডেন কলেজের ঘটনায় আমরা অনেক বিব্রত। ইতিমধ্যে কলেজের কমিটি স্থগিত ও কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

শনিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের জাঙ্গিরাই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন। এর আগে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের বাড়িতে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

ইডেন কলেজের ঘটনাকে ‘দুই নেত্রীর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব’ উল্লেখ করে আল নাহিয়ান খান বলেন, বিষয়টিকে তারা সাংগঠনিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সংগঠনকে কেউ বিতর্কিত করতে পারেন না। ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, হালকা কিছু ঘটেছে। অথচ বিষয়টিকে অনেক বড় করে দেখানো হয়েছে।

অতীতের চেয়ে সংগঠনের বর্তমান অবস্থা কেমন জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, তারা পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এ সময় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হলেও মানবিক কার্যক্রমে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন। সংগঠনের অতীত গৌরব-ঐতিহ্যকে তারা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত সংগঠন ভালো চলছে বলে দাবি করেন তিনি।

জুড়ীতে সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত এক নেতার উপস্থিতি নিয়ে উপজেলা ও তৈয়বুন্নেছা খানম কলেজ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে চান। আপত্তি জানানোয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের তর্কাতর্কি হয়।

এ বিষয়ে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এ ব্যাপারে নালিশ করেছেন। সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকার ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিকভাবে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post