কুলাউড়ায় অধ্যাপিকা নাজমা বানু'র উপর হামলা; অভিযুক্ত রাশেদ গ্রেপ্তার

 


নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের যুক্তিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা বানু মারধর ও লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।



শুক্রবার  (১২ আগস্ট) রাতে বাড়িওয়ালা পক্ষের লোকজনের হামলায় অধ্যাপক নাজমা বানু সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রাশেদ আহমদ চৌধুরী (৪০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পালগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।



পুলিশ জানায়, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা নাজমা বানু কলেজের পাশে মুদিপুর এলাকায় রাশেদ আহমদ চৌধুরীর ভাই শামীম আহমদ চৌধুরীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। শামীম দেশে না থাকায় রাশেদ ওই বাসা দেখাশোনা করতেন।

কয়েকদিন যাবৎ বাসায় পানি সরবরাহ করতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছিলো। বিষয়টি রাশেদকে বারবার বলার পরও পানির সমস্যা সমাধান করে না দেয়ায় রাশেদের মামা আমুদ মিয়াকে শুক্রবার বিষয়টি অবহিত করেন নাজমার স্বামী কুলাউড়া উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল মতলিব। এতে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে রাশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা বানুসহ তার স্বামীকে কিল-ঘুষি মেরে চাকু দিয়ে হত্যাচেষ্টা করে।

এ ঘটনায় রাতেই নাজমা বানু থানায় অভিযোগ দিলে শনিবার দুপুরে ওসি আব্দুছ ছালেকের দিকনির্দেশনায় পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই পরিমল চন্দ্র দাস ও এসআই আব্দুর রহিম জিবানসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে রাশেদকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, কলেজের শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষিকা নাজমা বানুকে মারধরের পর থেকে রাশেদ আত্মগোপনে চলে যায়। শনিবার দুপুরে তাকে রাউৎগাঁওয়ের পালগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post