বন্যায় সিলেটে সড়কেই শতকোটি টাকার ক্ষতি

 



অনলাইন ডেস্কঃ বন্যার পানি নামলেও এখন পর্যন্ত সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়নি। তেলিখালে একটি সেতুতে ফাটল ধরেছে। দেবে গেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা বাজার এলাকার আরেকটি সেতুর এপ্রোচ সড়ক। এতে ওই সড়ক দিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চালচল।

বুধবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুগুলো সংস্কারে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ। আজকের মধ্যে এই সড়কে যান চলাচল শুরু করার কথা জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।

বন্যায় সিলেটে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে; এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সড়ক থেকে পানি নামলেও কোম্পানীগঞ্জ এখনও বিচ্ছিন্ন আছে জানিয়ে এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ সড়কের কিছুটা পথে গাড়ি আসছে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় এরপর আর আসছে না।’

ভয়াবহ বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে সিলেটের বেশির ভাগ সড়ক। বন্যায় জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই উপজেলা।

এখন সড়কগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। পানি উঠে অনেক সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কার্পেটিং উঠে গেছে প্লাবিত প্রায় সব সড়কের। সড়ক ও সেতুর এপ্রোচ সড়কেও দেখা দিয়েছে ধস।

বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেট-সুনামগঞ্জ এবং সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। পানি নেমে যাওয়ায় বুধবার থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে পানির তোড়ে এই সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের।

মঙ্গলবার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়ক থেকেও পানি নেমে যায়। তবে দুটি সেতু ও এপ্রোচ সড়কে ধসের কারণে ঝুঁকি বিবেচনায় এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বানের পানিতে একটি সেতু ও আরেকটি সেতুর এপ্রোচ সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

‘এই সেতুগুলো সংস্কারে সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ কাজ করছে। আশা করছি, আজকের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালু হবে।’

বন্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ১২৫ কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে জানিয়ে এই প্রকৌশলী বলেন, ‘সিলেটে বন্যায় সড়কে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।’

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবির বলেন, ‘আমাদের সড়কগুলো এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। পানি না নামলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।’ - সিলেট টুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post