১১ বছর পর লিগ শিরোপা ঘরে তুলল মিলান



স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে মিলানের প্রায় এক যুগের অপেক্ষা ঘুচল। পরম সাধের ‘স্কুদেত্তো’ (ইতালিয়ান লিগ) ধরা দিল তাদের কাছে। মৌসুমের শেষ ম্যাচে ফল পক্ষে আসলেই লিগ শিরোপা জয়, এমন সমীকরণ নিয়ে সাসুলোর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তারা। প্রথমার্ধেই ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুর জোড়া গোল এবং বিদায়ী মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসির এক গোলে ৩-০ ব্যবধানের সহজ জয়ে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা।

মৌসুমের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে ছিল এসি মিলান। শেষ ম্যাচে তাই জয় প্রয়োজন ছিল, ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে ইন্টার-সাম্পদোরিয়া ম্যাচের ফলের দিকে। তবে স্তেফানো পিওলির দল অত ঝামেলায় যায়নি। সহজ সমীকরণকে কঠিন না বানিয়ে ১৯ তম লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা।

প্রথমার্ধের ১৭ ও ৩২ মিনিটে দুবার লক্ষ্যভেদ করে মিলানকে শিরোপার সুবাস এনে দেন এই মৌসুমের শুরুতে ২ মিলিয়ন ইউরোতে দলে আসা জিরু। তার দ্বিতীয় গোলের মিনিট চারেক পরেই দলটির মিডফিল্ডার কেসি গোল করে জয় সুনিশ্চিত করেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কেউই আর একে অন্যের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। আর তাতে কোনো জটিলতা ছাড়াই শিরোপা ঘরে তোলা হয় যায় মিলানের।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইন্টারও নিজেদের ম্যাচে সমান ৩-০ ব্যবধানে সাম্পদোরিয়াকে হারিয়েছে। দুই পয়েন্টের জন্য টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতা হলো না দলটির। কাকতালীয়ভাবে, গত মৌসুমের নিজেদের ১১ বছরের লিগ শিরোপা খরা কাটিয়েছিল ইন্টার। এবার দলটির নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেই কীর্তির সাক্ষী হলো।

২০১১ সালে ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির হাত ধরে সর্বশেষ লিগ শিরোপা এসেছিল মিলানে। এরপর গত ১১ বছরের গল্প ছিল শুধুই হতাশার। ক্লারেন্স সিডর্ফ, ফিলিপ্পো ইনজাঘি, সিনিসা মিহায়লোভিচ, জেন্নারো গাত্তুসোর মতো সিরি আ’র অনেক কিংবদন্তিরা দলটির সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাদের কেউই সফল হতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেওয়া স্তেফানো পিওলি ফিরিয়ে আনলেন সেই হারানো গৌরব, সেই ঐতিহ্য। গতবারও সিরি আ’র শিরোপার লড়াইয়ে ছিল পিওলির মিলান, তবে আন্তোনিওর ইন্টারের সঙ্গে সেবার দৌড়ে পেরে উঠেনি তারা। তবে এবার সিমোন ইনজাঘির ইন্টারকে শিরোপার দৌড়ে হারিয়ে সেই আক্ষেপ মিটিয়েছে মিলান

মিলানের ৪০ বছর বয়সী মহাতারকা ইব্রাহিমোভিচ বলেছিলেন, মিলানকে একটা শিরোপা না জিতিয়ে তিনি ফুটবলকে বিদায় বলতে চান না। এবার হয়ত ইচ্ছাপূরণের অপরিসীম আনন্দ নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখতে পারবেন তিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post