সিলেটের পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



নিউজ ডেস্কঃ সিলেট অঞ্চলের পতিত জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

একনেকসভা শেষে ব্রিফিংয়ে এসে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় বিরক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত করতে হবে। কেননা দেরি হলে ব্যয় যেমন বাড়ে, তেমনি জনগণও সঠিক সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করতে গিয়ে বিরক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা প্রকল্পটি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু এখন মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মূল ব্যয় ছিল ২৬১ কোটি টাকা। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

একনেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বারবার প্রকল্প সংশোধন করা হয়। আজকে একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়, এর মধ্যে পাঁচটি সংশোধিত। এর মানে বারবার সংশোধিত প্রকল্প একনেক সভায় আসছে বলে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে বিষয়টি তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। সিলেট অঞ্চলে নানা কারণে অনেক জমি পতিত পড়ে আছে, কোনো ব্যবহার হয় না। জমিগুলো যেন ব্যবহার হয় সেজন্য আমি সিলেটবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় জানিয়ে দেবো।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বৈঠকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের মধ্যে সরকারিভাবে অর্থায়ন হবে তিন হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর এক হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস, কর ও অনুদান থেকে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-

১. নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প,

২. ডাক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ।

৩. ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ।

৪. শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন।

৫. ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প।

৬. আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প।

৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।

৮. গাজীপুরের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

৯. ফ্ল্যাড অ্যান্ড রিভার ব্যাংক ইরিসন ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম অনুমোদন দেওয়া হয়।

১০. ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্ল্যান্ট প্রকল্প এবং গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর ও যশোর জেলায় বিটাকের ৬টি কেন্দ্র স্থাপন।

Post a Comment

Previous Post Next Post