ফেঞ্চুগঞ্জে হচ্ছে ইউরিয়া সারের কারখানা

 



নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় নতুন ইউরিয়া সারের কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় ৭২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে  ‘ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পের ৫৯৩ কোটি টাকাই অর্থায়ন করা হবে বিদেশি ঋণের মাধ্যমে। বাকি ১৩২ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। আগামী ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

মঙ্গলবারে একনেকের সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সারের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন করতে গেলে গ্যাসের সংকট হয়। ফলে বিদেশে সার কারখানা নির্মাণে দেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারবেন। সেই সার দেশে ব্যবহার করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনাটা বেসরকারি খাত উন্মোচন করতে পারে।’

জানা গেছে, দেশে ইউরিয়া সারে চাহিদা বছরে ২৪ হাজার টন। তবে এর পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এতে অনেক সময় বাড়তি খরচ গুনতে হয়। আবার সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছানোও যায় না। তাই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ইউরিয়া সারের একটি কোটিং কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। এখানে বছরে উৎপাদন হবে ২৯ হাজার টন কোটেড ইউরিয়া সার। অর্থাৎ চাহিদার পুরোটাই যোগান দেওয়া যাবে এখান থেকে। প্রথমবারের মতো দেশে এ ধরনের কারখানা তৈরির কাজ শেষ হলে আগামী দুই বছরের মাথায় কৃষকের হাতে এই সার পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইউরিয়া সারের কোটিং ম্যাটেরিয়াল ইউএফ-৮৫ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে আমদানিনির্ভরতা কমানোর মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় হবে। নতুন কারখানায় কোটেড ইউরিয়া উৎপাদনে উপজাত হিসেবে মিথানল ও ফরমালডিহাইড জাতীয় মধ্যবর্তী রাসায়নিক উৎপাদন হবে। দেশে মিথানলের চাহিদার একটা বড় অংশও এর মাধ্যমে জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post