কমলগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

 



নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৫ম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে রহিমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী এমপি’র আপন ছোট ভাইয়ের নিবার্চনী কাযার্লয়ে আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। পুলিশ খবর পেয়ে উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এঘটনায় এমপি’র ছোট ভাই বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের পর পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় মুন্সিবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ঘটনার রাতে শমশেরনগর থেকে ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠান শেষে এমপি’র নিজ এলাকা রহিমপুরে আপন ছোট ভাই নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এসময়ে এমপি’র আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ তুলে বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদারের সমর্থকদের সাথে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সংঘর্ষে এমপি’র গানম্যান তরিকুল, গাড়ি চালক স্বপন ও ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ইমাম হোসেনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এমপি’র উপর কোন হামলা না হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে নিরাপদে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এঘটনায় এম’পির ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট গ্রামের রাসেল মিয়া (৩২) ও প্রতাপী গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া (৩৭) কে আটক করেছে।

অভিযোগ তুলে রহিমপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদার বলেন, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ইফতেখার আহমদ বদরুলের আপন বড় ভাই উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এম’পি। তাই আচরণবিধি লঙ্গণ করে নিজের ভাইয়ের পক্ষে প্রচার প্রচারণা ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর রহিমপুর ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমপি আবারও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন করে নিজ ছোট ভাইয়ের পক্ষে অফিসে গিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। এসময়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এম’পি নিজে আমাকে জানে মারার হুমকি দেন এবং তাদের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর হামলা শুরু করলে ৮ থেকে ১০ জনকে আহত করে।

অপরদিকে এমপি’র ছোট ভাই ও মামলার বাদি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বড় ভাই উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদ একেবারে ব্যক্তিগত সফরে শমশেরনগরে এক ছাত্রের বাসায় আসেন। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি সিদ্ধেশ্বরপুর হয়ে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতেখার আহমদের সাথে দেখা করতে আসেন। তাকে না পেয়ে তিনি তার অফিসে বসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনেল আহমেদ তরফদারের উপস্থিতিতে তার নির্দেশনায় এমপিকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিজে বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দুইজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

উল্লেখ্য, ৫ম ধাপে আগামি ৫ জানুয়ারি কমলগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০৬ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২৭ জনসহ মোট ৪৬৬ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post