নিউজ ডেস্কঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সড়কপথে থাইল্যান্ডকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। সিলেটের তামাবিল থেকে ভারত-মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডে যাবে সড়ক যোগাযোগ।
তিনি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে ভারত সম্মত হয়েছে। অন্য দেশের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটি হাব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নে বরাদ্দ দিতে দ্বিধা করেন না। না চাইতেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনেক কিছু পাচ্ছে সিলেট। সিলেট নগরের উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর অত্যাধুনিক হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। শিক্ষাখাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটের প্রত্যেকটি কলেজে বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মডেল সিলেট গড়ে তোলা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিলেট নগর আপনার-আমার সবার। কে কোন মতের-দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। আমরা সবাই সিলেটের— এটাই মূল বিষয়। এখানের ছেলে আমি, আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। আমার কাছে কেউ কেউ বলেন যে, মেয়র অন্য দলের। সুতরাং আপনি উনার অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। আমি বলি-সিলেট তো আমারও। মেয়র সাহেবরও। তাই বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব করতে হবে।’
এদিন সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিদেশের বুকে বাংলাদেশের গৌরব সমুন্নত রাখা, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন ও সিলেটের উন্নয়নের বিশেষ অবদান রাখায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন সিসিকের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমীন নাহার রুমা। পরে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মানপত্র, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক স্বর্ণের ‘নগর চাবি’ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এর আগে সিসিক মেয়র, কাউন্সিলররা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।